ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল অনেক আগেই আয়োজন করেছে লর্ডস। লন্ডনের ঐতিহাসিক এই ক্রিকেট ভেন্যু এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল আয়োজনের অপেক্ষায়।

লর্ডসে আগামীকাল শুরু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের (২০২৩-২০২৫ চক্র) ফাইনাল। মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়ন; তাঁর দলের এবারের অভিযানটা শিরোপা ধরে রাখার। টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথমবারের মতো উঠেছে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে। তাঁর দলের লক্ষ্য গদাকৃতির ট্রফিটা অস্ট্রেলিয়ানদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ২৭ বছর পর বৈশ্বিক শিরোপা জেতা।

তবে যেহেতু এটি টেস্ট ম্যাচ, তাই জয়-হারের পাশাপাশি ড্র–ও হতে পারে। টাই হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে যে দুটি ম্যাচ টাই হয়েছে, দুটির সঙ্গেই জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার নাম! এর সঙ্গে ক্রিকেটের ‘আজন্ম শত্রু’ বৃষ্টি তো আছেই। বৃষ্টিতে ম্যাচ ড্রও কিংবা পরিত্যক্তও হয়ে যেতে পারে।

তাই ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ড্র, টাই কিংবা পরিত্যক্ত হলে কোন দলের হাতে ট্রফি উঠবে?

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বলছে, অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনাল শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত থেকে গেলে দুই দলকেই যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় চক্রের ফাইনালেও একই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল।

ফাইনালে বৃষ্টির কারণে অনেক ওভার নষ্ট হলেও যেন ফল আসে, তাই আগামী সোমবার (১৬ জুন) রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত এক দিন আগের দুই চক্রের ফাইনালেও রাখা হয়েছিল।

২০১৯-২১ চক্রের ফাইনাল হয়েছিল সাউদাম্পটনে। সেই ম্যাচ গড়িয়েছিল ষষ্ঠ দিনে। বৃষ্টির কারণে প্রথম ও চতুর্থ দিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। ষষ্ঠ দিনে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

লন্ডনের ওভালে ২০২১-২৩ চক্রের ফাইনালে অবশ্য বৃষ্টি বাগড়া দেয়নি। সেবার পঞ্চম দিনে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া।

তবে এবার অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনাল আবারও প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। লন্ডনের আবহাওয়া এমনিতেই অননুমেয়। গ্রীষ্মকাল শুরুর আগে যখন-তখন বৃষ্টি নামে।

লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের অবস্থান লন্ডনের সেন্ট জোন্স উড এলাকায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক পরিষেবা আকুওয়েদারের তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার ফাইনালের প্রথম দিন, শনিবার চতুর্থ দিন এবং রোববার পঞ্চম দিন সেন্ট জোন্স উড এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় রোদ থাকবে। মাঝে মাঝে আকাশে হালকা মেঘ থাকবে।

তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফাইনালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সোমবার রিজার্ভ ডের দিনে অবশ্য রোদেলা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আকুওয়েদার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট স ট চ য ম প য়নশ প

এছাড়াও পড়ুন:

‘যেন ভূমিকম্প হলো’ বিমান দুর্ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শী

ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, যখন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তখন তার মনে হয়েছিল, ‘যেন ভূমিকম্প হলো’। খবর বিবিসি বাংলার

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ঘরেই বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রচন্ড একটা শব্দ হলো। মনে হলো যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আমি তখনও জানতাম না বিমান ভেঙে পড়েছে। পরে এখানে এসে জানতে পারি।’ 

‘এখানে এসে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে আর ওখানে অনেকগুলো মৃতদেহ পড়ে আছে, বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী।

বিজেপি বিধায়ক দর্শনা বাঘেলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলের কাছেই নিজের দপ্তরে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে আমার অফিসে বসেছিলাম। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে গিয়ে দেখি, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ডাক্তারের হোস্টেলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তায় আমরা অনেককে উদ্ধার করতে পেরেছি।

এদিকে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।

পুলিশের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বিধ্বস্ত বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ