ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে দেশের বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে দেখা যাচ্ছে এক ব্যতিক্রমী চিত্র– বাংলা সিনেমা দেখতে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন হলমুখী। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, কেউ বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে; কারও হাতে টিকিট, কেউ দাঁড়িয়ে আছেন দীর্ঘ লাইনে– একটাই লক্ষ্য, বাংলা ছবি দেখা। এই ঢল সামলাতে মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বাড়িয়ে চলেছে শোয়ের সংখ্যা। তবুও যেন কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না দর্শকদের স্রোত। রাজধানীর জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্সের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, আগামী দুই দিনের অধিকাংশ শোর টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে আগেভাগেই। বিশেষ করে শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ক্ষেত্রে টিকিটের চাহিদা যেন অপ্রতিরোধ্য। অনলাইনে ঢুকেই বোঝা যায়– একটি আসনও খালি নেই। দর্শকদের ভিড় সামাল দিতে কোনো কোনো হলে মিডনাইট’ শো চালু করার খবরও পাওয়া গেছে। মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, এমন দর্শক প্রবাহ বহুদিন পর দেখা যাচ্ছে। ঈদের বাংলা ছবি মানেই এখন হাউসফুল শো আর এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার আগ্রহ।
টিকিট না পাওয়ায় হতাশা
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও অন্যান্য বড় শহরের সিনেমা হলে সকাল থেকে টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ছে। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে, যমুনা ব্লকবাস্টার, মধুমিতা ও সাভারের সেনা অডিটোরিয়াম, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন, বগুড়ার মধুবনসহ অনেক জায়গায় দর্শকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন টিকিট পাওয়ার জন্য। বিশেষ করে তাণ্ডব ছবির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ দেখা গেছে চরম। ঈদের ছুটির সময় সিনেমা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে এসেছে মানুষ। কিন্তু সীমিত টিকিট অনেকের মন ভেঙে দিয়েছে বলেও জানাচ্ছেন। সরেজমিন ঢাকার বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখা যায়, ঢাকার লালমাটিয়া থেকে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখতে এসেছেন নিজাম উদ্দীন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কাউন্টারের সামনে। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রথমেই আক্ষেপ করে জানান, পরিবার নিয়ে এতদূর থেকে সিনেমা দেখতে এসে শুনি টিকিট নেই। বিষয়টি খুব খারাপ লাগছে। ঈদের এই ছুটিতে এখন কোথায় যাব। বাধ্য হয়ে এই মার্কেটেরই টগি ওয়ার্ল্ড নামে একটি ফান ওয়ার্ল্ড আছে সেখানে যাচ্ছি তবে সিনেমা না দেখতে পারায় কষ্ট লাগছে। ’
নিজাম উদ্দীনের মতো অনেকের মুখেই হতাশা দেখা গেল। সোহেল নামে এক যুবক জানলেন অনলাইনে টিকিট কেটে তিনি তাণ্ডব দেখতে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে পরে তাঁর আরও দুই বন্ধু যুক্ত হয়েছেন। ভাবছিলেন কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাবেন কিন্তু সেটা পাননি। ফলে একাই তাণ্ডব দেখতে হবে তাঁকে। আরেক তরুণী মুন বলেন, ‘তাণ্ডব দেখেছি। এবার ইনসাফ ছবি দেখার খুব ইচ্ছা ছিল, টিকিট না পাওয়ায় আজ দেখা হলো না। অনেক দর্শক নীলচক্র নিয়েও একই হতাশা প্রকাশ করলেন।
টিকিটের এই ক্রাইসিস নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিপণন বিভাগের কর্মকর্তা জানান, ‘ঈদের মতো উৎসব বেশ কয়েক বছর ধরে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। যা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। অফিস বন্ধ থাকায় এই সময়টায় টিকিটের চাপ একটু বেশি থাকে। সবাই যেন সিনেমা দেখার সুযোগ পায় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা থাকে। আমরা দর্শকদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে সিনেমার শো বাড়াচ্ছি। তবে দর্শকের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, একসঙ্গে সবার সিনেমা দেখার ইচ্ছে পুরোপুরি মেটানো কঠিন।”
টিকিট নিয়ে প্রতারণা
মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্সের টিকিটের চাহিদাকে কেন্দ্র করে কিছু প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে দর্শকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের নামে অনলাইন গ্রুপ, পেইজ কিংবা সাইট তৈরি করে অনলাইনে সিনেমার টিকিট বিক্রি করছেন তারা। এতে করে দর্শকরা প্রতারিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কিছু দর্শক তাদের নিজস্ব সাইটে না অন্য সাইট থেকে টিকিট নিয়ে সিনেমা দেখতে এসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তাই দর্শকদের এসব প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই না কোনো দর্শক এ ধরনের প্রতারণার শিকার হোক। তাই দর্শকদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা এসব অননুমোদিত সাইট বা অনলাইন পেইজ কিংবা গ্রুপ থেকে টিকিট ক্রয় করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত কিংবা পেমেন্টের বিস্তারিত তথ্য কোনো সন্দেহজনক একাউন্টে শেয়ার করবেন না।
প্রযোজক কেউ বেজার কেউ খুশি
দেশের সব সিঙ্গেল স্ক্রিনের হলগুলোতে এখন পর্যন্ত শাকিব খানের তাণ্ডবের দাপট বিদ্যমান। দাপুট চলছে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতেও। তবে অন্য সিনেমার প্রযোজকরা মাল্টিপ্লেক্সে শোয়ের শিডিউল নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। যেমন ইনসাফ সিনেমার প্রযোজক বলছেন, তাদের শো কম দেওয়ার কথা। পাশাপাশি যে শো গুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোরও টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি। সকালের শোতে তেমন দর্শক থাকে না। আবার বিকেলের শোও কম। ফলে ইনসাফ দেখতে আসা দর্শকরা শো না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে বা অন্য ছবি দেখছেন। একই সুর পাওয়া গেল নীলচক্র সিনেমার পরিচালকের কথাতেও। তিনি বললেন, আমাদের নীলচক্র সিনেমার শো প্রপার টাইমে দেওয়া হয়নি। দিলে প্রতিদিন আরও বেশি দর্শক ছবিটি দেখার সুযোগ পেত। তারপরও দর্শকরা নীলচক্রকে যেভাবে গ্রহণ করছেন, তাতে আমি খুবই খুশি। আমার বিশ্বাস আমাদের ছবিটি লম্বা রেসের ঘোড়া হবে। তাণ্ডব ছবির পরিচালক রাহয়ান রাফী বললেন, “আমরা অতিরিক্ত শো চালুর উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে সবাই ছবিটি দেখতে পারে।”
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম পর ব র ন য় ন লচক র আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টা শুল্কের কারণে ক্রয়াদেশ কম
তৃতীয় দফা আনুষ্ঠানিক আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় আজ শুক্রবার থেকে বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। বাড়তি শুল্কহার শেষ পর্যন্ত কত শতাংশে স্থির হয় সেটি ফয়সালা না হওয়ায় মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আগামী মৌসুমে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কম দিচ্ছে। আবার কিছু ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত ক্রয়াদেশ না দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
পাল্টা শুল্ক কার্যকরের সময় চলে এলেও তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা আগের মতো উদ্বিগ্ন নন। কারণ, দুই-তিন দিন ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও মার্কিন বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে যে ইঙ্গিত পাচ্ছেন তাতে বাংলাদেশের পাল্টা শুল্ক ভিয়েতনামের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। এ ছাড়া প্রতিযোগী দেশ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, বর্তমানে বসন্ত ও গ্রীষ্মের ক্রয়াদেশ আসার মৌসুম। তবে পাল্টা শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়বে। তাতে তৈরি পোশাকের বিক্রি কমবে। সেটি অনুমান করে মার্কিন বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিশ্রুতির চেয়ে ১০-২০ শতাংশ কম ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত ক্রয়াদেশ দিতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার কাছাকাছি নামিয়ে আনা গেলে বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা তৈরি হবে। তার কারণ চীন থেকে ব্যাপক হারে ক্রয়াদেশ সরবে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘পাল্টা শুল্ক নিয়ে আমরা খুব বেশি ভয় পাচ্ছি না এখন। তবে বাড়তি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের চাহিদা কমবে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই ক্রয়াদেশও কিছুটা কমতে পারে। বাড়তি শুল্ক কার্যকর ও শুল্কহার নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলে আগামী ৩-৪ মাস হয়তো ক্রয়াদেশ কম থাকতে পারে। শেষ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক ভিয়েতনামের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে পারলে ক্রয়াদেশ বাড়বে।’
যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক ছিল ৩৭ শতাংশ। তিন মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক হবে ৩৫ শতাংশ, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা বর্তমানে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য রপ্তানি করেন। নতুন হার কার্যকর হলে তা ৫০ শতাংশে দাঁড়াবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্কহার কমাতে তৃতীয় দফার আলোচনা করতে বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। এই দলটি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষ করেছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
দেশের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী ইভিন্স গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। তাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২৫ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।
জানতে চাইলে ইভিন্স গ্রুপের পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রয়াদেশ আসার গতি বর্তমানে কিছুটা ধীর। পাল্টা শুল্ক শেষ পর্যন্ত কত দাঁড়ায় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে বাড়তি এই শুল্ক শেষ পর্যন্ত মার্কিন ক্রেতাদের দিতে হবে। ফলে বাড়তি শুল্ক কার্যকর হলে দেশটিতে বেসিক বা নিত্য ব্যবহার্য তৈরি পোশাকের বিক্রি কমবে। আমরা এসব সস্তা পোশাকই বেশি রপ্তানি করি। ফলে আমাদের রপ্তানি কমতে পারে।’
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি গত অর্থবছরে রপ্তানি করে ৩০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। তার একটি বড় অংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে।
স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শোভন ইসলাম বলেন, ‘মার্কিন বড় ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক সোর্সিং অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিশ্রুত ক্রয়াদেশ ১০-২০ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছে। এপ্রিলে আমরা যেসব ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে ৫ শতাংশের মতো মূল্যছাড় দিয়েছিলাম, সেটি বসন্ত ও গ্রীষ্ম মৌসুম পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একক শীর্ষ বড় বাজার। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ শতাংশের কিছু বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ৮৫ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। এ ছাড়া মাথার টুপি বা ক্যাপ, চামড়ার জুতা, হোম টেক্সটাইল, পরচুলা ইত্যাদি বেশি রপ্তানি হয়।
জানতে চাইলে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বর্তমানে ক্রয়াদেশ কিছুটা কম। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশের পণ্যে শুল্ক কত দাঁড়াচ্ছে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এ ছাড়া আমাদের পাল্টা শুল্ক কমবে বলে আমরা আশাবাদী।’