Samakal:
2025-06-13@13:53:10 GMT

হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী সাড়ে ৭ গুণ

Published: 12th, June 2025 GMT

হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী সাড়ে ৭ গুণ

চলতি বছর বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে রোগী দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩০৩ জনে। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে রয়েছেন ২ হাজার ২৭৫ জন, যা মোট আক্রান্তের ৪২ শতাংশ।

এদিকে, এক দিনে ডেঙ্গু নিয়ে ২৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। শনাক্তদের মধ্যে ২৬১ জনই বরিশাল বিভাগের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জানুয়ারিতে মশা জরিপ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। জরিপে বরিশাল বিভাগে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক করলেও মশা নিধনে পদক্ষেপ দেখা যায়নি সংশ্লিষ্টদের। ফলে এ বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যমতে, বিভাগের মধ্যে ৭৯ জন ভর্তি বরগুনার হাসপাতালে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তাসকিয়া সিদ্দিকী জানান, তাদের ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বুধবার পর্যন্ত ৭২ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি। জেলার বামনা উপজেলা হাসপাতালে চার ও পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতালে আছেন তিনজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা.

শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল সমকালকে বলেন, গত বছর থেকে বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরগুনায় ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি। জেলার শহর-গ্রাম সর্বত্র এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। চিকিৎসাসেবা বাড়াতে জেলা হাসপাতালে তাৎক্ষণিক দুই চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। এ বছর বরিশাল বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যার তিনজনই বরগুনার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১ হাজার ২৭১ রোগী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রয়েছেন। এর পর চট্টগ্রামে ৮৩৬, ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৩৫, খুলনা বিভাগে ১৬৫, ময়মনসিংহে ৯৬, রাজশাহীতে ৮৭, রংপুর ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি ১৯ জন করে। এ বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন জানান, জানুয়ারির জরিপে তারা ঢাকার চেয়ে বরিশাল বিভাগে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি পান। সে সময় মশা নিধনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। একদিকে মশার ঘনত্ব বেশি; অন্যদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম তেমন না হওয়ায় বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই পরীক্ষা করাননি। তারা এখন হাসপাতালে আসছেন। সঙ্গে নতুন করে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। সবমিলেই সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী।
অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৮৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় কারও মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ২০২ জনই বরগুনা জেলায়। আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, ‘ঈদের ছুটির কারণে পরীক্ষা কম হয়েছে। এখন পরীক্ষা বেশি হচ্ছে, তাই রোগীও বাড়ছে। চলতি বছর শুরু থেকেই বরিশাল বিভাগে রোগী বেশি।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল ব ভ গ র বর শ ল বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।

বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,  এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ