মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৯ সালে সরকারের সেই পরিকল্পনায় বলা হয়, চেন্নাই হয়ে মালেতে রুটটি চালু করা হবে। ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও পর্যটন ও শ্রমবাজার হিসেবে জনপ্রিয় এই রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু হয়নি।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মালদ্বীপ থেকে প্রয়োজনীয় সময়সূচির স্লট না পাওয়া, ট্রানজিট সংক্রান্ত জটিলতা এবং পাইলট ও কেবিন ক্রু প্রস্তুতির অভাব— এই বিলম্বের মূল কারণ। তারা বলছে, স্লট পেলে খুব শিগগিরই রুটটি চালু করা সম্ভব হবে।

বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২১ সালেই সরাসরি ঢাকা–মালে রুটে ফ্লাইট চালু করে এবং তা নিয়মিত পরিচালনা করছে। পর্যটক ও প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যেখানে বিমানের অনুপস্থিতি প্রশ্ন তুলেছে সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নিয়ে।

আরো পড়ুন:

বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

সিলেট থেকে মদিনার পথে প্রথম হজ ফ্লাইট

বেসরকারিখাত এগিয়ে থাকলেও জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থার এ ধরনের দীর্ঘসূত্রতা সমালোচিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের দেরিতে বিমান শুধু ব্যবসায়িক সুযোগ হারাচ্ছে না, দেশের ভাবমূর্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

মালদ্বীপ প্রবাসী এক বাংলাদেশি বলেন, শ্রমবাজার হিসেবে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ বাংলাদেশিদের কাছে পছন্দের গন্তব্য। এদেশে এক লাখের বেশি বাংলাদেশি কাজ করেন। এছাড়া, বছরজুড়ে থাকে ব্যবসায়ী ও পর্যটকের যাতায়াত। বিমান বারবার উদ্যোগ নেয়ার পরও  মালদ্বীপে ফ্লাইট চালু করতে পারেনি। 

সরকারি প্রতিষ্ঠান যদি এই রুটে বিমান চালায়, তাহলে আরো কম খরচে তারা দেশে যেতে পারবেন বলে জানান। 

ঢাকা/বকুল  

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ল ইট চ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ