ওজন কমাতে কমবেশি সবারই চেষ্টা থাকে।  শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারলে শরীর সুস্থ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে,ওজন কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন। এছাড়াও এমন কয়েকটি পানীয় রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত খেতে পারলে শরীরে জমা অতিরিক্ত মেদ ঝরবে এবং ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
ওজন কমাতে যেসব ডিটক্স পানীয় খাবেন

১.

হালকা গরম পানিতে পাতিলেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এই পানীয় ওজন কমানোর পাশাপাশি বদহজমের সমস্যাও দূর করবে। তবে একটানা অনেকদিন এই পানীয় না খাওয়াই ভালো। এতে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। 

২. নিয়মিত জিরা ভেজানো পানি খেলে ওজন কমবে খুব তাড়াতাড়ি। এক্ষেত্রে কাঁচা জিরা ব্যবহার করা ভালো। যেদিন খাবেন তার আগের রাতে পানিতে জিরা ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে খেয়ে নিন। কাচের পাত্রে পানির মধ্যে জিরা ভেজানো ভাল। জিরা ভেজানো পানি ভালো করে ছেঁকে খাবেন।

৩. নিয়মিত অ্যাপেল সিডার খেলে অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে। তবে এই পানীয় সামান্য পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

৪. ওজন কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে শসা। টক দইয়ের সঙ্গে শসা মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও শসা, পাতিলেবুর রস সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে মিশিয়ে একটি ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে খেলে অল্পদিনেই কমবে ওজন। চাইলে এমনিতেই প্রতিদিন একটা করে শসা খেতে পারেন। এতে পেট ভরবে। শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। এর পাশাপাশি মেদও ঝরাবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড টক স ওজন কম ত

এছাড়াও পড়ুন:

ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।

নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।

বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,  এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ