ভারতের আহমেদাবাদে লন্ডন অভিমুখী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো শোক বার্তায় লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদে ২৪২ জন যাত্রী বহন করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার মর্মান্তিক সংবাদে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই মর্মান্তিক ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আরও পড়ুনআহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে২ ঘণ্টা আগে

অধ্যাপক ইউনূস শোক বার্তায় আরও বলেন, ‘এই দুঃসময়ে আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনায় রয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের প্রিয়জনেরা। আমরা ভারতের জনগণ ও সরকারের পাশে আছি। প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছি।’

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল। উড়োজাহাজে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুনশিক্ষার্থীরা ক্যানটিনে খাওয়ার সময় হোস্টেলে আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজ১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ