ভারতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ, সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ
Published: 12th, June 2025 GMT
ভারতের আহমেদাবাদে লন্ডন অভিমুখী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো শোক বার্তায় লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদে ২৪২ জন যাত্রী বহন করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার মর্মান্তিক সংবাদে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই মর্মান্তিক ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
আরও পড়ুনআহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে২ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক ইউনূস শোক বার্তায় আরও বলেন, ‘এই দুঃসময়ে আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনায় রয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের প্রিয়জনেরা। আমরা ভারতের জনগণ ও সরকারের পাশে আছি। প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছি।’
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাকবলিত উড়োজাহাজটি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল। উড়োজাহাজে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুনশিক্ষার্থীরা ক্যানটিনে খাওয়ার সময় হোস্টেলে আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজ১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’
ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব