যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার বাকি রাখতে চাওয়ায় বরপক্ষের হামলা, আহত ৪
Published: 13th, June 2025 GMT
ভোলার লালমোহন উপজেলায় যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার বাকি রাখতে চাওয়ায় বরপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কনের মা-বাবা, বোন ও চাচা আহত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলপাড় এলাকার আনা মিয়া কালু ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর বরপক্ষের লোকজন খাল সাঁতরে পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কনের ফুফু মমতাজ বেগম বলেন, গত ঈদুল ফিতরের সময় তাঁর বড় ভাই মো.
মমতাজ বেগম আরও বলেন, কনের বাবা তখন বাকি টাকা ও সোনার জন্য সময় চান। তখন ছেলের বাবা কোনো টাকা বাকি থাকলে কনেকে নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে বরের বড় ভাই মো. হাসান গেট ও চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বরের সঙ্গে আসা অন্তত ৮ থেকে ১০ জন কনের পরিবারের লোকজনকে চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা খাওয়াদাওয়া না করেই খাল সাঁতরে এবং কেউ নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বর মো. রুবেল বলেন, ‘আমি পেছনে ছিলাম। তবে গেটে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, তা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত হয়ে কনেপক্ষের লোকজন থানায় এলে চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হয়ে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার বাকি রাখতে চাওয়ায় বরপক্ষের হামলা, আহত ৪
ভোলার লালমোহন উপজেলায় যৌতুকের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার বাকি রাখতে চাওয়ায় বরপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কনের মা-বাবা, বোন ও চাচা আহত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলপাড় এলাকার আনা মিয়া কালু ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর বরপক্ষের লোকজন খাল সাঁতরে পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কনের ফুফু মমতাজ বেগম বলেন, গত ঈদুল ফিতরের সময় তাঁর বড় ভাই মো. বিল্লালের বড় মেয়ে সালেহা বেগমের সঙ্গে লালমোহন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে মো. রুবেলের সঙ্গে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে হয়। তখন বরপক্ষ যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকা ও দুই ভরি সোনা দাবি করে। গতকাল দুপুরে কনেকে উঠিয়ে নিতে কনের বাড়িতে আসেন বরপক্ষের লোকজন। তাঁদের সঙ্গে কথা ছিল দুপুরে ৫০ জন খাবেন। কিন্তু তাঁরা এসেছেন ৬৫ জন। বরপক্ষ আসবে শুনে বাড়ির ছোট ছোট মেয়েরা গেট তৈরি করেছে। তবে বরপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসেই উত্তেজিত হয়ে বলেন, আগে যৌতুকের টাকা ও সোনা দিতে হবে। তারপর খাবার খেয়ে তাঁরা কনেকে নেবেন।
মমতাজ বেগম আরও বলেন, কনের বাবা তখন বাকি টাকা ও সোনার জন্য সময় চান। তখন ছেলের বাবা কোনো টাকা বাকি থাকলে কনেকে নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে বরের বড় ভাই মো. হাসান গেট ও চেয়ার ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বরের সঙ্গে আসা অন্তত ৮ থেকে ১০ জন কনের পরিবারের লোকজনকে চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করেন। এরপর তাঁরা খাওয়াদাওয়া না করেই খাল সাঁতরে এবং কেউ নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বর মো. রুবেল বলেন, ‘আমি পেছনে ছিলাম। তবে গেটে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, তা আমি জানি না।’
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, হামলায় আহত হয়ে কনেপক্ষের লোকজন থানায় এলে চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হয়ে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।