সোনারগাঁয়ে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
Published: 13th, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের একদিন পর সবুজ মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সাদীপুর বড়িবাড়ী এলাকার এশিয়ান হাইওয়ের রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
নিহত সবুজ মিয়া আড়াইহাজার উপজেলার কাইমপুর এলাকার নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে। সবুজ তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার শিংলাবো এলাকার সাইদুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে এশিয়ান হাইওয়ের বড়িবাড়ী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে কেউ হত্যা করে লাশ এখানে ফেলে রেখে গেছে।
নিহত সবুজের স্ত্রী রেহেনা আক্তার জানান, গত বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রোমান নামের তার এক বন্ধু মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আমার স্বামীকে ডেকে নেয়। পরদিন দুপুরে খবর পেয়ে তালতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে এসে স্বামীর লাশ দেখতে পাই। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করছি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হামলা হলে ইরানের পরিণতি শোচনীয় হবে: মার্কিন কর্মকর্তা
ইরানকে হুঁশিয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ম্যাকয় পিট বলেছেন, তেহরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, ঘাঁটি কিংবা অবকাঠামোর ওপর হামলা চালায়, তবে তাদের পরিণতি শোচনীয় হবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো মনে করে, ইরানের একটি চুক্তি করা উচিত। তারা একটি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজবে। আলোচনায় বসাটা এ মুহূর্তে ইরানের নেতৃত্বের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ম্যাকয় পিট এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। নিরাপত্তা পরিষদে পিট বলেন, ‘হামলার আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছিল। তবে এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল না। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিক, কর্মী ও সেনাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের জায়গা।’
ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে জানিয়েছিল ইসরায়েল। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিল যে, আত্মরক্ষার্থে এ হামলা অপরিহার্য।
এদিকে ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে তিনি ইরানকে "একের পর এক সুযোগ" দিয়েছেন। রোববার ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে চুক্তি বিষয়ক ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই আলোচনার আগেই এই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘আমি তাদের শক্ত ভাষায় বলেছি যে এটি করো, কিন্তু তারা করেনি। ইতোমধ্যে অনেক প্রাণহানি ও ধ্বংস সাধিত হয়েছে। কিন্তু এই রক্তপাত বন্ধ করার এখনও সময় আছে। কারণ এর পরের হামলাগুলো আরও ভয়াবহ হতে যাচ্ছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে ইরানকে অবশ্যই চুক্তিতে আসতে হবে। যেটিকে একসময় পারস্য সাম্রাজ্য বলা হতো, সেটিকে রক্ষা করো। আর কোনও মৃত্যু নয়, আর কোনও ধ্বংস নয়, এটি করো, নইলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ইরানে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, এই হামলার পরিকল্পনার কথা তিনি আগে থেকেই জানতেন। তবে তিনি এটি স্পষ্ট করেছেন যে, এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কোনোভাবেই অংশ নেয়নি।