বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বেড়াতে গিয়ে স্রোতে ভেসে যাওয়া আরেক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া পর্যটকের নাম স্মৃতি ইসলাম। 
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকা থেকে স্মৃতি ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট দুই পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জুবাইরুল ইসলাম নামে অপর পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে ট্যুর গ্রুপের সহসমন্বয়ক মো.

হাসান চৌধুরী। 

আলীকদম থানার এসআই শাহাদাৎ হোসাইন বলেন, শুক্রবার সকালে তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকায় লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। লাশ বুঝে নিতে নারী পর্যটকের স্বজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। 

নাম না প্রকাশের শর্তে আলীকদম উপজেলার কয়েকজন গাইড জানান, ৯ জুন ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামে ৩৩ জনের একটি পর্যটক দল দু’জন গাইড নিয়ে থানচি-আলীকদমের মাঝখানে ক্রিসতং পাহাড়ে বেড়াতে যায়। দলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্ষা নামে এক নারী ট্যুর অপারেটর। সহসমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন হাসান চৌধুরী। ৩৩ সদস্যের এই দলটির গন্তব্য ছিল আলীকদমের ক্রিসতং পাহাড় এবং থানচির সাকাহাফং পাহাড়ের চূড়া। 

দলটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাত্রা করে। একটিতে ২২, অন্যটিতে ১১ জন সদস্য ছিলেন। একটি পাহাড়ি ঝিরি পার হতে গিয়ে ২২ সদস্যের দলের দুই পর্যটক ও এক ট্যুর অপারেটর প্রবল স্রোতে ভেসে যান। তার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম বলেন, উদ্ধার হওয়া দুই পর্যটকের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আত্মীয়স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন পর যটক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বিনষ্ট করা বাবুই পাখির বাসা প্রতিস্থাপন 

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিনষ্ট করা ৩০টি বাবুই পাখির বাসা এবং ২০টি বাবুই পাখির ডিম প্রতিস্থাপন করেছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে উপজেলার উত্তর আমখোলা গ্রামের তাল গাছে এ সব বাসা প্রতিস্থাপন করা হয়। 

বুধবার (৩০ জুলাই) ওই গ্রামের কৃষক সিদ্দিক মোল্লা এ সব বাসা বিনষ্ট করেন। বাসা প্রতিস্থাপনের সময় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ বন সংরক্ষক সফিকুল ইসলাম ও এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সাপ ও বন্যপ্রাণী উদ্ধার কর্মী আসাদুল্লাহ হাসান মুসা উপস্থিত ছিলেন। 

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা বলেন, ‘‘কৃষক সিদ্দিক মোল্লার ধানক্ষেতের পাশের তালগাছে বাবুই পাখি এসব বাসা বুনন করেছিল। কৃষক সিদ্দিক মোল্লা এ সব বাসা বিনষ্ট করেন। আমরা খবর শোনামাত্র বিষয়টি বন বিভাগকে অবহিত করি। পরে আজ বাসাগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।’’ 

আরো পড়ুন:

প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা

তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যায় ২ মামলা

পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের উপ বন সংরক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাসাগুলো ওই কৃষকের ধানক্ষেত সংলগ্ন তালগাছে বুননের কারণে তিনি বিনষ্ট করেছেন। তার পরিবার হতদরিদ্র। তিনি আর বাবুই পাখির বাসা বিনষ্ট করবেন না মর্মে মুচলেখা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাসাগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।’’ 

গত মাসে ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার ঘটনা নিয়ে সমলোচনা হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ