সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রোববার (বাংলাদেশ সময় ভোরে) যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ২১তম আসর। এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের ক্লাবগুলো পৌঁছেছে আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ইন্টার মায়ামি ও আফ্রিকান জায়ান্ট মিশরের আল আহলি।

এবারই প্রথমবারের মতো ৩২ দল নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ, যা বিশ্বকাপের আদলে সাজানো হয়েছে। ইউরোপের রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলানের মতো শীর্ষ ক্লাবগুলো অংশ নিলেও এবার অনুপস্থিত বার্সেলোনা, এসি মিলান ও লিভারপুলের মতো জনপ্রিয় দল। অনেকেই মনে করছেন, এসব ক্লাব না থাকায় টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতায় কিছুটা ভাটা পড়তে পারে।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৩২ দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রত্যেক গ্রুপে রয়েছে ৪টি করে দল। গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা দুই দল যাবে নকআউট পর্বে, যেখানে একের পর এক হাইভোল্টেজ ম্যাচে হবে চূড়ান্ত লড়াই। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ জুলাই, নিউ জার্সির বিখ্যাত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে। যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি শহরে হবে পুরো আসরের ম্যাচগুলো।

অংশগ্রহণকারী দলগুলোর তালিকা:

ইউরোপ: ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বেনফিকা, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, জুভেন্টাস, রেড বুল সালজবুর্গ, অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।

ওশেনিয়া: অকল্যান্ড সিটি (অস্ট্রেলিয়া)।

দক্ষিণ আমেরিকা: পালমেইরাস, ফ্ল্যামেঙ্গো, ফ্লুমিনেন্স, রিভার প্লেট, বোকা জুনিয়র্স, বোটাফোগো।

উত্তর আমেরিকা: মন্টেরে, সিয়াটল সাউন্ডার্স, পাচুকা, ইন্টার মায়ামি (আয়োজক দেশের কোটায়), লস অ্যাঞ্জেলস এফসি।

আফ্রিকা: আল আহলি, উইদাদ, এস্পেরান্স দে তিউনিস, মামেলোদি সান্ডাউনস।

এশিয়া: আল হিলাল, উরওয়া রেড ডায়মন্ডস, আল আইন, উলসান এইচডি।

গ্রুপ পর্বের পূর্ণাঙ্গ সূচি

তারিখ

ম্যাচ

সময় (বাংলাদেশ সময়)

১৫ জুন

আল আহলি-ইন্টার মায়ামি

ভোর ৬টা

১৫ জুন

বায়ার্ন মিউনিখ-অকল্যান্ড সিটি

রাত ১০টা

১৬ জুন

পিএসজি-অ্যাথলেটিকো

রাত ১টা

১৬ জুন

পালমেইরাস- পোর্তো

রাত ৪টা

১৬ জুন

বোতাফোগো- সিয়াটেল সাউন্ডার্স

সকাল ৮টা

১৭ জুন

চেলসি-এলএএফসি

রাত ১টা

১৭ জুন

বোকা জুনিয়র্স- বেনফিকা

রাত ৪টা

১৭ জুন

ফ্ল্যামেঙ্গো- তিউনিস

ভোর ৭টা

১৮ জুন

রিভার প্লেট-রেড ডায়মন্ডস

রাত ১টা

১৮ জুন

উলসান এইচডি- মামেলোডি সানডাউনস

রাত ৪টা

১৮ জুন

ইন্টার মিলান- মন্টেরে

ভোর ৭টা

১৮ জুন

ম্যানসিটি- ওয়াইদাদ এসি

রাত ১০টা

১৯ জুন

রিয়াল মাদ্রিদ-আল হিলাল

রাত ১টা

১৯ জুন

পাচুকা-সালজবার্গ

রাত ৪টা

১৯ জুন

আল আইন- জুভেন্টাস

ভোর ৭টা

১৯ জুন

পালমেইরাস-আল আহলি

রাত ১০টা

২০ জুন

ইন্টার মায়ামি- পোর্তো

রাত ১টা

২০ জুন

অ্যাথলেটিকো-সিয়াটেল সাউন্ডার্স

রাত ৪টা

২০ জুন

পিএসজি- বোতাফোগো

ভোর ৭টা

২০ জুন

বেনফিকা- অকল্যান্ড সিটি

রাত ১০টা

২১ জুন

চেলসি-ফ্ল্যামেঙ্গো

রাত ১২টা

২১ জুন

তিউনিস-এলএএফসি

রাত ৪টা

২১ জুন

বায়ার্ন মিউনিখ- বোকা জুনিয়র্স

ভোর ৭টা

২১ জুন

ডর্টমুন্ড- মামেলোডি সানডাউনস

রাত ১০টা

২২ জুন

ইন্টার মিলান- রেড ডায়মন্ডস

রাত ১টা

২২ জুন

ফ্লুমিনেন্স- উলসান

রাত ৪টা

২২ জুন

রিভার প্লেট- মন্টেরে

ভোর ৭টা

২২ জুন

জুভেন্টাস-ওয়াইদাদ এসি

রাত ১০টা

২৩ জুন

রিয়াল মাদ্রিদ- পাচুকা

রাত ১টা

২৩ জুন

সালজবার্গ-আল হিলাল

রাত ৪টা

২৩ জুন

ম্যানসিটি- আল আইন

ভোর ৭টা

২৪ জুন

পিএসজি- সিয়াটেল সাউন্ডার্স

রাত ১টা

২৪ জুন

বোতাফোগো-অ্যাথলেটিকো

রাত ১টা

২৪ জুন

আল আহলি-পোর্তো

ভোর ৭টা

২৪ জুন

পালমেইরাস-ইন্টার মায়ামি

ভোর ৭টা

২৫ জুন

অকল্যান্ড সিটি-বোকা জুনিয়র্স

রাত ১টা

২৫ জুন

বায়ার্ন মিউনিখ-বেনফিকা

রাত ১টা

২৫ জুন

চেলসি-তিউনিস

ভোর ৭টা

২৫ জুন

ফ্ল্যামেঙ্গো-এলএএফসি

ভোর ৭টা

২৬ জুন

ডর্টমুন্ড-উলসান

রাত ১টা

২৬ জুন

ফ্লুমিনেন্স-মামেলোডি সানডাউনস

রাত ১টা

২৬ জুন

রেড ডায়মন্ডস-মন্টেরে

ভোর ৭টা

২৬ জুন

ইন্টার মিলান- রিভার প্লেট

ভোর ৭টা

২৭ জুন

জুভেন্টাস-ম্যানসিটি

রাত ১টা

২৭ জুন

আল আইন-ওয়াইদাদ

রাত ১টা

২৭ জুন

আল হিলাল-পাচুকা

ভোর ৭টা

২৭ জুন

রিয়াল মাদ্রিদ-সালজবার্গ

ভোর ৭টা

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ফ টবল ক ল ব ব শ বক প অকল য ন ড স ট ইন ট র ম য় ম ল স উন ড র স ইন ট র ম ল ন র ন ম উন খ আল হ ল ল ব শ বক প র ত ১০ট আল আইন মন ট র ২১ জ ন ত উন স ২২ জ ন ১৮ জ ন ২৪ জ ন ২৫ জ ন ২৬ জ ন ১৯ জ ন ২০ জ ন ২৭ জ ন প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া

শীতের মৌসুম শুরু হলেও রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ এবার কম। এ কারণে দামও চড়া। বাজারে অধিকাংশ সবজির কেজি ৮০ টাকার বেশি। কিছু সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে।

বছরের এপ্রিল-অক্টোবর সময়টা মূলত গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুম। এ সময়ে প্রাণিজ আমিষ, অর্থাৎ মাছ, মাংস ও ডিমের দাম তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। তাতে সবজির ওপর চাপ বাড়ে। ফলে সবজির সরবরাহ মোটামুটি থাকলেও দাম থাকে চড়া। শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করলে দামও কমতে শুরু করে। শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে।

বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর শীতের আগাম সবজি আসতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে। এ কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ফুলকপি, শিমসহ শীতের আগাম কিছু সবজি আসতে শুরু করেছে। এতে এসব সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, অক্টোবরের শুরুতেই আগাম শীতের সবজি বাজারে আসার কথা। কিন্তু এবার বেশ দেরিতেই এসব সবজি বাজারে এসেছে।

দেশে সবজির অন্যতম উৎপাদনস্থল যশোর। যশোরের সদর উপজেলার নোঙরপুর গ্রামের কৃষক বদরুল আলম এ বছর ৪০ শতক জমিতে আগাম মুলা চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ২৫ শতক জমির মুলা তিনি বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, আবহাওয়াগত কারণে এবার আগাম সবজি একটু দেরিতে চাষ হয়েছে। এ জন্য খেত থেকে সবজি তুলতেও দেরি হয়।

এ বছর একটা লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময়ে কেউ আগাম সবজি চাষের ঝুঁকি নেননি। এ কারণে আগাম শীতকালীন সবজি অক্টোবরের শেষে বাজারে আসা শুরু হয়েছে।আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ, অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার বলেন, এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক কৃষক ওই সময়ে আগাম সবজি চাষ করতে পারেননি। চাষাবাদ শুরু করতে দেরি হওয়ায় সবজি পেতেও দেরি হয়েছে। এতে বাজারেও প্রভাব পড়েছে।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

কৃষিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছর আগাম সবজি চাষে দেরি হওয়ার পেছনে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টানা বৃষ্টির একটি ভূমিকা ছিল। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সময়ে হঠাৎ টানা বৃষ্টি হয়। সামনের বছরগুলোতেও এমন পরিস্থিতি আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।

এ বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক কৃষক ওই সময়ে আগাম সবজি চাষ করতে পারেননি। চাষাবাদ শুরু করতে দেরি হওয়ায় সবজি পেতেও দেরি হয়েছে। ইমরান মাস্টার, সভাপতি, কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতি

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, দেশে ফসল উৎপাদন মূলত প্রকৃতিনির্ভর চাষাবাদ পদ্ধতিতে এবং খোলা মাঠে হয়। এ ক্ষেত্রে বৃষ্টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে গত কয়েক বছরে দেশে বৃষ্টির ধরন পরিবর্তন হয়ে গেছে। কখনো খুব বেশি বৃষ্টি হয়, কখনো কম। এ বছর একটা লম্বা সময় ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টির সময়ে কেউ আগাম সবজি চাষের ঝুঁকি নেননি। এ কারণে অন্যান্য সময় যেখানে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে চলে আসে, সেখানে এবার তা অক্টোবরের শেষে আসা শুরু হয়েছে। এটিই বাজারে সবজির দাম না কমার অন্যতম কারণ।

ভিন্ন দাবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দুই দফায় সবজির ক্ষতি হয়। এর মধ্যে গত আগস্টে প্রায় ১৮ দিনের বৃষ্টিতে ৩৫১ হেক্টর জমির এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ দিনে ১২৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের দাবি, চলতি বছর শীতের আগাম সবজি আসতে উল্লেখ করার মতো দেরি হয়নি। স্থানভেদে কোথাও কয়েক দিন দেরিতে চাষ শুরু হয়েছে। তবে সেটি সার্বিক চিত্র নয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘আগাম সবজির সরবরাহ কম, এটি ব্যবসায়ীদের সাধারণ কথা। আমাদের তথ্য বলছে, শীতের আগাম সবজি ইতিমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। দেশের সব বাজারেই এখন শীতের আগাম সবজি পাওয়া যায়। দামও সহনীয় হয়ে এসেছে। আগাম সবজি যদি কম থাকত, তাহলে দাম আরও চড়া থাকার কথা ছিল।’

বৃষ্টির কারণে সবজি আসতে দেরি হয়েছে কি না—এ প্রসঙ্গে ওবায়দুর রহমান বলেন,সারা দেশে একসঙ্গে টানা বৃষ্টি হয়নি। শুধু কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ রংপুরের কয়েকটি জেলা এবং চট্টগ্রামের কিছু জেলার নিচু এলাকায় অতিবৃষ্টির প্রভাব পড়েছিল। এ ছাড়া বগুড়া, যশোর অঞ্চলে বৃষ্টির তেমন প্রভাব পড়েনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, চলতি বছর শীতকালে (রবি মৌসুম) প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুমান করেছে তারা। এর মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। যেসব জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে, সেখানে আবার সবজি চাষ হবে। গত বছর শীত মৌসুমে সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৪২ হাজার হেক্টরে সবজি চাষ হয়েছিল।

করণীয় কী

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃষ্টির অস্বাভাবিকতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। এ সত্যকে মেনে নিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তির চাষাবাদ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে এক ফসলি জমিকে দুই বা তিন ফসলি করা এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো জরুরি।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষিতে প্রযুক্তিনির্ভর অভিযোজনের বিকল্প নেই। কম খরচে পলিথিনের শেড তৈরি করে সবজি চাষ করা সম্ভব, যা বৃষ্টি বা তাপমাত্রার পরিবর্তনে তেমন প্রভাবিত হয় না। পাতাজাতীয় শাকসবজি, মরিচ, টমেটো, বেগুন ও শসার মতো ফসল এতে সহজে উৎপাদন করা যায়। উৎপাদন স্থিতিশীল থাকলে সবজির সরবরাহ ঠিক থাকবে, কৃষকেরাও ভালো দাম পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ