শম্ভুপুরা ইউনিয়নে শহীদ জিয়াউর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
Published: 13th, June 2025 GMT
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভপুরা ইউনিয়ন বিএনপি ও সকল অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করা হয়।
শুক্রবার (১৩জুন) দুপুরে শম্ভপুরা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ করেন।
শম্ভুপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে শম্ভপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব আজহারুল ইসলাম মান্নান প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশাররফ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শারজাহান মেম্বার, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব কমিশনার, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিডিআর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী জয়নাল মেম্বার, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ৩ নং সাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য বিএম ডালিম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রোবেল হোসাইন, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের ১ নং আহবায়ক সদস্য মাসুম রানা, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সোরহাব প্রধান সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা রাকিব হাসান,সোহেল রানা, করিম রহমান শম্ভুপুরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইকবাল, আবুল সরকার,আব্দুর রহিম, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল বাশার, জুয়েল রানা, নোবেল মীর, তরিকুল, গফুর সরকার, সোহেল ভান্ডারী, ওয়াস করনি, জিতু,বেনইয়ামিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন উপস থ ত ছ ল ন ন ব এনপ র স স ন রগ রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তির সাধক ছিলেন লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী’
লেখক, প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ মোতাহের হোসেন চৌধুরী সারা জীবন মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করে গেছেন। প্রকৃত মানবতাবাদী দার্শনিক ছিলেন তিনি। এ কারণে তাঁর লেখা, সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তা এখনকার মানুষের জন্যও সমান প্রাসঙ্গিক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ৬৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। লেখকের নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে তাঁকে নিয়ে প্রথম স্মরণসভা ছিল এটি।
রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম রবিন শীষ। প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। বক্তব্য দেন প্রবন্ধিক, গবেষক ও শিক্ষক ড. কুদরত-ই-হুদা, যুগান্তরের সাহিত্য সম্পাদক কবি জুননু রাইন, লেখকপুত্র ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক গাজী গিয়াস উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলার একজন উজ্জ্বল প্রাবন্ধিক, মুক্তচিন্তার আলোকবর্তিকা। তাঁর লেখায় যেমন মানবতার বোধ রয়েছে, তেমনি যুক্তি ও প্রগতিশীল চিন্তার শক্ত ভিত্তি রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
বাবার স্মৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্যাপ্টেন সৈয়দ জাহিদ হোসাইন বলেন, ‘আমরা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। অথচ দুঃখজনক হলো, এত দিন বাবাকে নিয়ে এ জেলায় আলোচনা বা স্মরণসভা হয়নি। তাঁর মতো মহান প্রাবন্ধিকের জীবন ও দর্শন নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা জরুরি।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষক ড. কুদরত-ই-হুদা বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ছিলেন চিন্তার দিক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী এক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তবুদ্ধির সাধক, মানবতাবাদী দার্শনিক ও সাহিত্যপ্রেমী। তাঁর প্রবন্ধ আজও পাঠককে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা দেয়।
সাহিত্য, দর্শন ও সমাজচিন্তায় মোতাহের হোসেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে জানান কবি জুননু রাইন। তিনি বলেন, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর লেখনী আজও প্রজন্মকে চিন্তার খোরাক জোগান।
মোতাহের হোসেন চৌধুরী ১ এপ্রিল ১৯০৩ সালে তৎকালীন নোয়াখালী জেলা এবং বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল, আবদুল কাদিরের সঙ্গে যৌথভাবে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। বের করেন ‘শিখা’ নামের পত্রিকা। তাঁর রচিত প্রবন্ধ সংকলন ‘সংস্কৃতি কথা’ পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।