Samakal:
2025-06-14@09:36:28 GMT

কমিটি নেই, সবাই নেতা

Published: 13th, June 2025 GMT

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র ল আম ন ব এনপ র স সদস য উপজ ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে ছবি দেখে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ শনাক্ত

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ফেসবুকে ছবি ও শরীরের পোশাক দেখে বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি শনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকজন। নিহত ব্যক্তির নাম ফয়েজ আহাম্মদ। তিনি বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মুনাফের ছেলে। গত শনিবার কোরবানির ঈদের আগের রাতে নিখোঁজ হন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বাকশীমূল এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশটি আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ছবি দেখে ফয়েজের স্ত্রী রোকসানা জান্নাত ও পরিবারের লোকজন লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।

রোকসানা জান্নাত সাংবাদিকদের জানান, ফয়েজ আহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে অর্থসংকটে ভুগছিলেন। তিনি একটি এনজিও থেকে চার লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ না করাসহ আর্থিক অসচ্ছতলতার কারণে হতাশায় ভুগছিলেন। কোরবানির ঈদের আগের দিন রাতে (শুক্রবার রাতে) খাবার খেয়ে স্থানীয় রেললাইনের পাশে একটি ঈদগাহ পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। পরদিন ঈদগাহ কমিটির লোকজনের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানায়, তিনি (ফয়েজ) ঈদগাহ পাহারা দিতে যাননি। এরপর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তিন দিন পর ফেসবুকে লাশের ছবি দেখে থানায় গিয়ে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, গত সোমবার লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনের সঙ্গে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
  • মরিচখেতে তাজা গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
  • প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করণীয়
  • তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান
  • ফেসবুকে ছবি দেখে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ শনাক্ত