দুটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরান। শনিবার প্রথম প্রহরে ইসরায়েলে হামলা শুরুর পর এ দাবি করেছে ইরান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের আকাশে কমপক্ষে দুটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এছাড়া এক ইসরায়েলি পাইলটকে আটক করা হয়েছে।

ইরানের এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এছাড়া ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে এখনো কিছু বলেনি। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের আরবি মুখপাত্র আভিচায় আদরাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, ইরানের এই দাবি অসত্য।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলের সামরিক ও বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে ইরান

ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্রের পর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে ইরান

তিনি লিখেছেন, “ইরানি মিডিয়া মিথ্যা বলছে।”

শুক্রবার ভোররাতে তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা চালায় ইসরায়েল। এছাড়া ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়ও হামলা হয়েছে। এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, বিপ্লবী বাহিনীর প্রধান এবং দুজন পরামণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। ইরান এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। শনিবার প্রথম প্রহরেই ইসরায়েলের সামরিক ও বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে ইরান।

ঢাকা/শাহেদ/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েত থেকে ফিরে খেজুরের বাগান, আছে মরিয়ম–আজওয়া–মেডজল খেজুর

বীজ থেকে খেজুরগাছের চারা তৈরি করছেন জাকির হোসেন (৪৭)। সেই চারা বিক্রি করছেন আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও স্থানীয় লোকজনের কাছে। খেজুরগাছের চারা তিনি অনলাইনেও বিক্রি করছেন। গত তিন বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছেন। এ বছর তাঁর লাগানো ১৪টি গাছে ফল ধরেছে।

কুয়েতফেরত এই উদ্যোক্তা জানান, খেজুরগাছ তাঁকে শুধু অর্থনৈতিক মুক্তিই দেয়নি, সঙ্গে এনেছে মানসিক প্রশান্তিও।

১৯৯৯ সালে কুয়েতে যান দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা পৌর শহরের স্বজনপুকুর এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন। সেখানে প্রথমে মোটর গ্যারেজে চাকরি নেন, পরে হয়ে ওঠেন গ্যারেজের মালিক। কুয়েতের সুয়েব শহরের প্রতিটি রাস্তা আর বাড়িতে খেজুরগাছ দেখে মুগ্ধ হন তিনি। তখন ঠিক করেন, দেশে ফিরে খেজুরবাগান করবেন। সেখানকার কৃষকদের কাছ থেকে শিখে নেন চাষের পদ্ধতি।

২০১৭ সালে দেশে ফিরে ফুলবাড়ী পৌর শহরের স্বজনপুকুর এলাকায় ২০ শতাংশ জমিতে জাকির খেজুরের আবাদ শুরু করেন। ২০২২ সালে সেসব গাছে প্রথম ফল আসে। বর্তমানে দুই একর জমিতে বাগান করেছেন তিনি। তাঁর নার্সারিতে এখন বিক্রির উপযোগী চারা আছে ১০ হাজারের বেশি। ফল আসা ১৪টি গাছ থেকে প্রায় ২০ মণ খেজুর পাওয়ার আশা তাঁর। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলে প্রায় ৪ লাখ টাকার খেজুর বেচতে পারবেন।

জাকির হোসেনের বাগানে বর্তমানে মরিয়ম, আজওয়া, খলিজি, মেডজল ও আম্বার জাতের খেজুরগাছ আছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ