ইরানের হামলার পর ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
Published: 14th, June 2025 GMT
ইরানের হামলা শুরুর পরপর ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে চলে গেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর প্রধান এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। শনিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবারের হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার মধ্যরাত থেকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক ঘণ্টার মধ্যে ইরান দুই ভাগে ১৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এগুলো সবাই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। নয়টি স্থানে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা গেছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছে ১৫ জন।
চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে নিরাপত্তা প্রধান ও মন্ত্রীদের সাথে পরামর্শ করছেন।
আরো পড়ুন:
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের ২ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
এর আগে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরানের ‘ওপর আরো হামলা আসছে। দেশটির শাসকগোষ্ঠী জানে না কী তাদের উপর আঘাত করেছে বা কী তাদের উপর আঘাত হানবে।’
ঢাকা/শাহেদ/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিয়াল পেতে দেরি হওয়ায় ফেনীতে চিকিৎসকের চেম্বার ভাঙচুর করলেন যুবদল নেতা
ফেনীর সোনাগাজীতে এক চিকিৎসকের চেম্বারে হামলা-ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইকবাল হোসেন নামের স্থানীয় এক যুবদলের নেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের চক্ষু চিকিৎসক গোলাম রসুলের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় চিকিৎসকের বোনসহ দুজন আহত হয়েছেন।
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আড়কাইম গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আবদুল খালেকের ছেলে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চক্ষু চিকিৎসক গোলাম রসুল প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে বগাদানা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে নিজ বাড়ির চেম্বারে রোগী দেখছিলেন। এ সময় যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন তাঁর সহযোগী রোগী নুর হায়দার রোগী দেখা অবস্থায় চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে চিকিৎসকের সহকারী রুবেল একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করলে ইকবাল হোসেন, তাঁর সহযোগী নুর হায়দার বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে চেম্বারে প্রবেশ করে চিকিৎসকের সঙ্গে অশোভন আচরণের পাশাপাশি চেম্বারের চেয়ার, দরজা, জানালা, সিসিটিভি ক্যামেরা, মনিটর, সিলিং ফ্যানসহ ঘরের আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় বাড়িতে থাকা চিকিৎসকের বড় বোন বিষ্ণুপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিবি মরিয়ম ও চিকিৎসকের সহকারীকে মারধর করেন হামলাকারীরা। একপর্যায়ে যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন তাঁর অনুমতি ছাড়া চেম্বার না খুলতে ওই চিকিৎসককে হুমকি দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসক গোলাম রসুল বলেন, ‘মাসখানেক আগে কয়েকজন যুবক চেম্বারে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন যুবক আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তাঁরা আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং চেম্বার ও বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালান।’
অভিযুক্ত যুবদল নেতা ইকবাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তবে রোগীর সিরিয়াল নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে সহযোগীরা ভাঙচুর করেছেন বলে স্বীকার করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন্দ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসকের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। এরপর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।