ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিচ্ছে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শিয়াপ্রধান দেশটি। হামলা ও পাল্টা হামলায় চরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে দুই দেশে, সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার রাতভর দুই দেশ পরস্পরের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে। দুই দেশের উৎকণ্ঠিত কয়েক কোটি মানুষ পার করেছে নির্ঘুম এক অনিশ্চয়তার রাত। 

বিবিসি, আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে, হামলা ও পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার রাতে (১৫ জুন) ইরানের হামলায় ইসরায়েলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।

শনিবার রাতে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ পারমাণবিক প্রকল্পের স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা হামলা চালায় এবং এরপর থেকে তেল আবিব ও জেরুজালেমে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

আরো পড়ুন:

ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫

তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন, বিস্ফোরণের শব্দ এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

তেল আবিবে হামলার পর আগুনে জ্বলতে থাকা ভবনের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ভিডিও যথাযথভাবে যাচাই করা যায়নি বলে খবরে লিখেছে দ্য গার্ডিয়ান। তবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কিছু দৃশ্য তেল আবিবের পরিচিত রাস্তায় ধারণ করা।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ‘বহুবার আঘাত’ করেছে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তেল আবিবে রকেট ও এর খণ্ডাংশ পড়ে কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইরানের দুটি তেল পরিশোধনাগারে আগুন লেগেছে, যার একটি শাহরানে এবং অন্যটি দক্ষিণ তেহরানে; এই দুই স্থানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী জানিয়েছে, তাদের অভিযান “আরো তীব্র ও ব্যাপক হবে, যদি এই নৃশংসতা ও হামলা অব্যাহত থাকে।”

এর আগে ইসরায়েল উত্তরাঞ্চলে ‘শত্রু বিমান অনুপ্রবেশের’ সতর্কতামূলক সাইরেন বাজিয়েছিল।

ইরানের আগের হামলায় ইসরায়েলের তামরায় নিহত চারজন নারী একই পরিবারের সদস্য ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

জেরুজালেম পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিক; তারা হলেন- মানার আল-কাসেম আবু আল-হেইজা খতিব, তার দুই মেয়ে হালা (১৩) ও শাদা (২০) এবং তাদের আত্মীয় মানার দিয়াব খতিব।

ইরানের সর্বশেষ হামলায় তেল আবিবের অন্তত দুটি স্থান ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর ইসরায়েলের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষ এবং আহতদের উদ্ধার করতে জরুরি সেবাগুলো কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং এখন পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ