রাতভর ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা, নির্ঘুম দুই দেশ
Published: 15th, June 2025 GMT
ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিচ্ছে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শিয়াপ্রধান দেশটি। হামলা ও পাল্টা হামলায় চরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে দুই দেশে, সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার রাতভর দুই দেশ পরস্পরের মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে। দুই দেশের উৎকণ্ঠিত কয়েক কোটি মানুষ পার করেছে নির্ঘুম এক অনিশ্চয়তার রাত।
বিবিসি, আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সর্বশেষ খবরে বলা হচ্ছে, হামলা ও পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার রাতে (১৫ জুন) ইরানের হামলায় ইসরায়েলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
শনিবার রাতে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ পারমাণবিক প্রকল্পের স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা হামলা চালায় এবং এরপর থেকে তেল আবিব ও জেরুজালেমে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
আরো পড়ুন:
ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
আড়াইহাজারে জামায়াতের পথসভায় বিএনপির হামলা, আহত ৫
তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন, বিস্ফোরণের শব্দ এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইসরায়েল।
তেল আবিবে হামলার পর আগুনে জ্বলতে থাকা ভবনের ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ছে। এসব ভিডিও যথাযথভাবে যাচাই করা যায়নি বলে খবরে লিখেছে দ্য গার্ডিয়ান। তবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কিছু দৃশ্য তেল আবিবের পরিচিত রাস্তায় ধারণ করা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ‘বহুবার আঘাত’ করেছে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তেল আবিবে রকেট ও এর খণ্ডাংশ পড়ে কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইরানের দুটি তেল পরিশোধনাগারে আগুন লেগেছে, যার একটি শাহরানে এবং অন্যটি দক্ষিণ তেহরানে; এই দুই স্থানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী জানিয়েছে, তাদের অভিযান “আরো তীব্র ও ব্যাপক হবে, যদি এই নৃশংসতা ও হামলা অব্যাহত থাকে।”
এর আগে ইসরায়েল উত্তরাঞ্চলে ‘শত্রু বিমান অনুপ্রবেশের’ সতর্কতামূলক সাইরেন বাজিয়েছিল।
ইরানের আগের হামলায় ইসরায়েলের তামরায় নিহত চারজন নারী একই পরিবারের সদস্য ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
জেরুজালেম পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিক; তারা হলেন- মানার আল-কাসেম আবু আল-হেইজা খতিব, তার দুই মেয়ে হালা (১৩) ও শাদা (২০) এবং তাদের আত্মীয় মানার দিয়াব খতিব।
ইরানের সর্বশেষ হামলায় তেল আবিবের অন্তত দুটি স্থান ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর ইসরায়েলের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষ এবং আহতদের উদ্ধার করতে জরুরি সেবাগুলো কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং এখন পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রাজধানীর বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।
আনোয়ারের স্বজনদের অভিযোগ, গত ৮ মে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাড্ডার ভূঁইয়াবাড়ি টেকপাড়া এলাকায় নুরা পাগলা, শুটার সালাউদ্দিন, মাহিন, ইউসুফ, নয়নসহ কয়েকজন আনোয়ারকে পথরোধ করে মারধর করেন এবং পেটে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করে তাঁকে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবশেষে ১২ জুন আবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি।
আনোয়ারের খালাতো ভাই আবদুল জব্বার বলেন, আনোয়ার আগে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পরে তিনি নির্মাণসামগ্রীর ঠিকাদারি শুরু করেন। সব সময় তাঁর সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা থাকত।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গুলির ঘটনার পর আনোয়ারের পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলেন। তখন তাঁরা মামলা করেননি। মারা যাওয়ার পর এখন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় থাকতেন।