ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে ইয়েমেনের হুতিরাও
Published: 15th, June 2025 GMT
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করছে ইরান। এর পাশাপাশি ইয়েমেন থেকে হুতিরাও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে।
আজ রোববার (শনিবার দিবাগত রাত) একের পর এক হামলা হয়েছে ইসরায়েলে। বোমা হামলা থেকে বাঁচতে ইসরায়েলি নাগরিকদের বারবারই নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর দিকে ছুটতে হয়েছে। খবর আল জাজিরার
ইসরায়েল বলছে, এবার এসব ক্ষেপণাস্ত্র শুধু ইরান থেকেই যে আসছে তা নয়, ইয়েমেন থেকে হুতিরাও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছেন হুতিরা। এর আগে তারা গত মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। এর জবাবে হুতিদের নিয়ন্ত্রণাধীন হোদেইদা বন্দরে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল।
হুতিরা বলছেন, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলে হামলায় অংশ নিচ্ছেন তারা। গত মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতির সময় হুতিরা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ রেখেছিল। তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভাঙতেই হুতিরা আবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে শুরু করেছেন। ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি ইরানের সমর্থনপুষ্ট।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে ১৪ দিনে এল ১১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
দেশে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১১৪ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা।
রবিবার (১৫ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
ঈদের আমেজ ব্যাংক পাড়ায়, গ্রাহক কম
এর আগে, দেশে চলতি বছরের মার্চ মাসে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। একক মাসে এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আগে কখনো আসেনি বাংলাদেশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এছাড়া ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের নিকট বেশি বেশি অর্থ পাঠায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ ধারা চলতি মাসেও অনেকটা অব্যাহত থাকবে, যা রেমিট্যান্স আহরণে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার এবং সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ঢাকা/এনএফ/মেহেদী