হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের পাঠানো বার্তা না পড়েই সারসংক্ষেপ জানা যাবে
Published: 15th, June 2025 GMT
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপে একে অপরের সঙ্গে বার্তার মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ করেন অনেকেই। তবে ব্যস্ততার কারণে অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো সব বার্তার উত্তর দেওয়া সব সময় সম্ভব হয় না। এ সমস্যা সমাধানে হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের পাঠানো সব বার্তার সারসংক্ষেপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখে দেবে ‘মেটা এআই’ চ্যাটবট। এর ফলে অন্যদের পাঠানো বার্তাগুলো না পড়েই উল্লেখযোগ্য তথ্য জানার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। এরই মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের ওপর এ সুবিধার কার্যকারিতা পরখ শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউআবেটাইনফোর তথ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির এ সুবিধা চালু হলে অন্যদের পাঠানো একাধিক বার্তা না পড়লেই চ্যাট অপশনে একটি বাটন দেখা যাবে। বাটনটিতে প্রেস করলে ‘প্রাইভেট প্রসেসিং’ নামের একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থার মাধ্যমে বার্তার সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেখাবে হোয়াটসঅ্যাপ। এই প্রক্রিয়ায় কোনো তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ বা মেটার সার্ভারে পাঠানো বা সংরক্ষণ করা হবে না। সবকিছু প্রক্রিয়াকরণ হবে ব্যবহারকারীর ডিভাইসেই।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর এ সুবিধায় ব্যবহারকারীদের পরিচয় বা বার্তার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে এবং তা কোনোভাবে মেটা বা তৃতীয় পক্ষের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে সংরক্ষণ করা হবে না। ঐচ্ছিক এ সুবিধা চাইলে সেটিংস থেকে বন্ধ রাখতে পারবেন ব্যবহারকারী। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকায় বর্তমানে নির্দিষ্টসংখ্যক বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারী সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারছেন।
অন্যদের পাঠানো বার্তার সারসংক্ষেপ প্রদর্শনের পাশাপাশি আরও একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সুবিধা চালুর জন্য কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। ‘রাইটিং হেল্প’ নামের সুবিধাটি চালু হলে ব্যবহারকারীরা পাঠানো বার্তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও মার্জিত ও সংক্ষিপ্তভাবে লেখার সুযোগ পাবেন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প স রস ক ষ প ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।