ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চলতে থাকলে ইরান কি হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে—এই প্রশ্ন এখন বাণিজ্য ও সমরবিশারদদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাঁরা মনে করছেন, এই হরমুজ প্রণালি ইরানের হাতে থাকা অদৃশ্য বোমার মতো। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের পক্ষে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা সম্ভব নয়।

ইরান এই প্রণালি বন্ধ করে দিলে তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে, এবং সেই সঙ্গে, ইরান-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। তেলের দাম বাড়লে বিশ্বজুড়ে আবারও মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ব্যাহত হবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম। খবর আল–জাজিরার।

বৈশ্বিক তেল–বাণিজ্যের অপরিহরণীয় পথ হচ্ছে হরমুজ প্রণালি। এটা যে কেবল ইরানের জন্য ভৌগোলিক সুবিধা তা নয়, বরং এটি তাদের কৌশলগত অস্ত্র। ইরানের উপকূলঘেঁষা এই চ্যানেলের মাধ্যমে জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ পারস্য উপসাগর ও আরব সাগর সংযুক্ত হয়েছে। শুধু ইরানই নয়, পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানির প্রায় পুরোটাই নির্ভর করে এ পথের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) এক প্রতিবেদন অনুসারে, এ পথ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবাহিত হয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যের যা প্রায় ২১ শতাংশ।

আরেক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলছে, হরমুজ প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত জ্বালানি তেলের প্রায় ৭০ শতাংশেরই ভোক্তা দক্ষিণ এশিয়া। এর মধ্যে রয়েছে চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিপাইন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাও সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। ফলে হরমুজ প্রণালিতে যেকোনো ধরনের প্রভাবের প্রতিক্রিয়া এসব দেশের জ্বালানি তেলের বাজারেও পড়বে।

১৯৮০-১৯৮৮ সালের ইরান-ইরাক সংঘাতের সময় উভয় দেশই পারস্য উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এই পর্বটি ‘ট্যাংকার যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। তবে কখনোই হরমুজ প্রণালি পুরোপুরি বন্ধ করেনি ইরান। এটি বন্ধ করলে ইরান নিজেই বিপদে পড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

সাম্প্রতিক আরও কিছু উদাহরণ দেওয়া যায়। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ উপকূলে হরমুজ প্রণালির কাছে চারটি জাহাজে হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম জমানার সময় এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান তা অস্বীকার করে।

সংঘাতের সময় চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে জাহাজে হামলা করা নতুন কোনো বিষয় নয়। ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরের প্রবেশপথ বাব আল-মানদেব প্রণালিতে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।

হুতিদের হামলায় বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে ঠিকই, তবে জাহাজগুলো লোহিত সাগর এড়িয়ে আফ্রিকা ঘুরে যেতে পারে—এ যাত্রাটা দীর্ঘ হলেও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। কিন্তু হরমুজ প্রণালি না পেরিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে সমুদ্রপথে কিছুই রপ্তানি করা সম্ভব নয়, এটাই ইরানের হাতে বড় অস্ত্র।

এখন হতে পারে, কোনো দেশ ভাবল যে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে সরাসরি জ্বালানি কিনবে না। কিন্তু হরমুজ বন্ধ হলে অন্য দেশগুলোর ওপরও প্রভাব পড়বে। সরবরাহ হঠাৎ কমে গেলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম দ্রুতই বেড়ে যাবে। ইরানের এক সংসদ সদস্য এই হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকি দিলেও তেহরান আদৌ তা করতে পারবে কি না বা তারা সেটা চায় কি না, তা স্পষ্ট নয়।

ইরান এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবেই পাল্টা ব্যবস্থা নেবে—এই অঞ্চলে তাদের সামরিক ঘাঁটি আছে। এদিকে ইরান বলে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ কেউ যদি ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইরানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। যদিও এখন পর্যন্ত সে রকম কিছু ঘটেনি।

তবে হরমুজ প্রণালি বন্ধ হওয়া আমেরিকানদের পেটে লাথি পড়ার শামিল। সে রকম কিছু হলে ট্রাম্প সামরিকভাবে তার জবাব দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন বলে আশঙ্কা। ইরান এখনই প্রণালি বন্ধ করছে না ঠিক, কিন্তু ইরানের সংসদ সদস্য কোসারির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যুদ্ধাবস্থায় জাহাজ চলাচলের পথ আক্রমণ করার কৌশল তেহরান গ্রহণ করতেই পারে।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে হরমুজ প্রণালির কাছে একটি কনটেইনার জাহাজ দখল করে ইরানি সেনাবাহিনী। এর জবাবে ইরান সীমিত পরিসরে ইসরায়েলে হামলা চালায়, পরে ইসরায়েলও ইরানে প্রতিঘাত করে। তখন এর বেশি কিছু করেনি তারা।

ইরান কি পারবে হরমুজ বন্ধ করতে

তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে বৈশ্বিক তেল সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটানো বাস্তবসম্মত নয়, এমনকি কার্যত তা সম্ভবও নয়।

ট্রান্সভার্সাল কনসালটিংয়ের প্রেসিডেন্ট এলেন ওয়াল্ড সিএনবিসিকে বলেন, হরমুজ প্রণালিতে তেলপ্রবাহের গতি থামিয়ে প্রকৃতপক্ষে ইরানের ‘লাভ নেই’। বিশেষ করে যখন ইরানের নিজস্ব তেল স্থাপনাগুলোতে এখনো সরাসরি হামলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নিলে ইরানকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হতে পারে।

এলেন ওয়াল্ড আরও সতর্ক করে বলেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাবে—তখন ইরানের সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা চীনও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবে।

পারস্য উপসাগর থেকে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়া বা তেলের দাম বেড়ে যাওয়া—চীন কোনোভাবেই তা চাইবে না। সে রকম সম্ভাবনা সৃষ্টি হলে চীন ইরানের ওপর পুরো অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

বর্তমানে ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হচ্ছে চীন। তেহরানের রপ্তানি করা তেলের তিন-চতুর্থাংশের বেশি যায় চীনে। পাশাপাশি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন এখন ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।

বাস্তবতা হলো, এখন হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হলে ইরানের শত্রুদেশগুলোর চেয়ে বন্ধুদেশগুলোর ক্ষতি হবে বেশি। তাই এ রকম কিছু ঘটবে, এটা কল্পনাও করা কঠিন বলে মনে করেন এনার্জি আউটলুক অ্যাডভাইজারসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার আনাস আলহাজ্জি। তিনি সিএনবিসিকে আরও বলেন, হরমুজ বন্ধ হলে তেহরানের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি, কেননা ইরানের দৈনন্দিন ব্যবহার্য বেশির ভাগ পণ্যই আসে এই পথ দিয়ে।

এদিকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তেহরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর আগে ২০১১ ও ২০১২ সালেও একই হুমকি দিয়েছিল ইরান। ইরানের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ-রেজা রাহিমিসহ দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছিলেন, পরমাণু কর্মসূচির কারণে পশ্চিমা দেশগুলো আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে হরমুজ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

হরমুজ প্রণালির সবচেয়ে সরু অংশের প্রস্থ ৩৩ কিলোমিটার। সবচেয়ে প্রশস্ত অংশ ৯৫ কিলোমিটার। হরমুজ প্রণালী পারস্য উপসাগরকে আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। কিন্তু বাস্তবে এই পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা ইরানের নেই বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

বাস্তবতা হলো, হরমুজ প্রণালির বেশিরভাগ অংশই ওমানের সীমানার মধ্যে, ইরানের মধ্যে নয়। এই প্রণালি এতটাই চওড়া যে ইরান চাইলেও তা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না বলে সিএনবিসির কাছে মন্তব্য করেন জ্বালানি বিশ্লেষক আনাস আলহাজ্জি।

ট্রান্সভার্সাল কনসালটিংয়ের এলেন ওয়াল্ড বলেন, অনেক জাহাজ ইরানের জলসীমা দিয়ে গেলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান হয়ে বিকল্প পথে চলাচল সম্ভব। সে কারণে এই প্রণালী বন্ধ করার হুমকি রাজনৈতিক বক্তৃতার বেশি কিছু নয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র সবচ য় ইসর য় ল সরবর হ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ, প্রার্থী হলে করাতে হবে ডোপ টেস্ট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী হলে ডোপ টেস্ট করাতে হবে এবং রিপোর্ট পজিটিভ হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।

এ ছাড়া কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং প্রার্থিতা বাতিল বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার কিংবা রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী সব দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাকসুর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়। আচরণবিধিতে মনোনয়নপত্র, প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের বাধ্যবাধকতা, নির্বাচনে প্রচারণা, ছাত্র ও ছাত্রীদের হলে প্রবেশের নিয়মাবলি ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, প্রার্থী নিজে বা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো ধরনের মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না। প্রার্থীকে সশরীর উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ না হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।

নির্বাচনে যানবাহন ব্যবহারের বিধিনিষেধের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাদান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার বা নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের যানবাহন, মোটরসাইকেল, রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি, হাতি, ব্যান্ড পার্টি ইত্যাদি নিয়ে শোভাযাত্রা, শোডাউন বা মিছিল করা যাবে না। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে বা ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটারদের আনা-নেওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনের দিন প্রার্থী, ভোটার, শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে বাইসাইকেল ও রিকশা ব্যবহার করতে পারবে।

আচরণবিধিতে নির্বাচনী সভা, সমাবেশ ও শোভাযাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার দিন থেকে ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে। প্রচারণার সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। প্রার্থী ও ভোটার ব্যতীত অন্য কেউ কোনোভাবেই কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচারণা চালাতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় শুধু সাদা-কালো পোস্টার ব্যবহার করা যাবে। এ ক্ষেত্রে পোস্টারের আকার অনধিক ৬০*৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি হবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ভবনের দেয়ালে নির্বাচনসংক্রান্ত লেখা ও পোস্টার লাগানো যাবে না।

কোনো প্রার্থী কিংবা তাঁর সমর্থকেরা অপর কোনো প্রার্থী বা তাঁর সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারে কোনো বাধা সৃষ্টি (যেমন পোস্টার লাগাতে না দেওয়া, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, পোস্টারের ওপর পোস্টার লাগানো, সভা ও মিছিলে বাধা, মাইক কেড়ে নেওয়া ইত্যাদি) করা যাবে না। একাডেমিক ভবনের অভ্যন্তরে মিছিল বা সমাবেশ এবং শ্রেণিকক্ষের অভ্যন্তরে কোনো নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠেয় সভার স্থান ও সময় সম্পর্কে প্রক্টরকে আগে থেকে জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে। প্রার্থী পরিচিতি সভা ছাড়া অন্য কোনো সভায় মাইক ব্যবহার করা যাবে না। আবাসিক হলের অভ্যন্তরে কোনো মিছিল করা যাবে না। নির্বাচনের দিনে ভোটার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ব্যতীত ক্যাম্পাসে অন্য সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে ছাত্রদের আবাসিক হলে ছাত্রী এবং ছাত্রীদের আবাসিক হলে ছাত্র সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে পরিচিতি সভায় প্রবেশ করতে পারবে বলে আচরণবিধিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ভোটাররা নিজ নিজ হলের বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবে। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার ইস্যু করা পরিচয়পত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট হলের রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে গণমাধ্যমকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ