রূপগঞ্জে ভুয়া এডিশনাল এসপি পরিচয়ে প্রতারণা করে বিবাহ করা ভুয়া পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে  স্ত্রীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 রবিবার (১৫ জুন) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ  সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার কসকনকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

ভুয়া এসপি জাকারিয়া সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার কসকনকপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের এসপি পরিচয় দিয়ে চানপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মাহতাব চৌধুরীর মেয়ে মারিয়া চৌধুরীকে প্রতারণার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ।

এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে , প্রতারণা করে এসপি পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মারিয়া চৌধুরী নামে এক নারীকে বিয়ে করে। বিবাহের পর স্ত্রীর সাথে এখানেই  বসবাস শুরু করেন জাকির। সে সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে সে রূপগঞ্জের চানপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় নিজেকে এডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারকমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন ।

এদিকে দীর্ঘদিন যাবত যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় মারিয়া চৌধুরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেন। 

ভুক্তভোগী মারিয়া চৌধুরী অভিযোগ করে জানান,চার বছর আগে জাকারিয়া সঙ্গে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন সে নিজেকে এসপি পরিচয় দেন। পরে তাদের দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মারিয়া চৌধুরীর বাবার বাড়ি চনপাড়ায় রেখে ঘর সংসার করে আসছেন।

বেশ কিছু দিন ধরে জাকারিয়া মারিয়ার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় নানা সময় শারীরিক নির্যাতন চালাতেন জাকারিয়া ।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, জাকারিয়া নিজেকে পুলিশের এডিশনাল এসপি যার আইডি নং ৯৫১২৪৮৩ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলার প্রতারণাসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছিলেন। রূপগঞ্জের কয়েকটি মামলার আসামি তিনি।

শুধু তাই নয়, তার প্রোফাইল পিকচারে পুলিশের পোশাক পরিহিত ছবি ও পুলিশের এডিশনাল এসপি পরিচয় দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে ।

ওসি আরো জানান,  প্রতারণার মাধ্যমে মারিয়া চৌধুরী নামে এক নারীকে বিয়ে করে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করা হয়েছে।

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে যে সব মামলা রয়েছে সে সব মামলায় তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ