বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিসর বাড়াতে এবং ছোট দলগুলোর অংশগ্রহণ সহজ করতে টেস্ট ক্রিকেটে বড় একটি পরিবর্তনের পথে হাঁটছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। নতুন পরিকল্পনায়, কিছু দল আগামী চক্র থেকে চার দিনের টেস্ট খেলবে। ঐতিহ্যবাহী শক্তিশালী দলগুলোকে রাখা হবে পাঁচ দিনের নিয়মে। লক্ষ্য- অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ টেস্ট ক্রিকেট গড়ে তোলা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) চলমান লর্ডস ফাইনালের সময় আইসিসির অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ চার দিনের ম্যাচের প্রতি সমর্থন জানান, যা চারদিক থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়।
মূল উদ্দেশ্য হলো, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ের মতো দলগুলোকে আরও বেশি টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া। কারণ, আর্থিক ও সময়সীমার বাধায় এসব দেশ নিয়মিত পাঁচ দিনের টেস্ট আয়োজন করতে পারে না। চার দিনের টেস্ট হলে খরচ যেমন কমবে, তেমনি টেস্ট সিরিজের সময়সীমাও সংকুচিত হবে। যা ছোট দলগুলোর জন্য আদর্শ।
আরো পড়ুন:
প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেলো দ.
চোকার্স দক্ষিণ আফ্রিকা এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
তবে, ঐতিহ্যবাহী সিরিজগুলোতে কোনও পরিবর্তন আসছে না। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত তাদের গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলো যেমন অ্যাশেজ, বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি কিংবা নতুন সংযোজিত অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি আগের মতোই পাঁচ দিনেই খেলে যাবে।
চার দিনের টেস্ট অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৭ সালে এটি প্রথমবার চালু হয় এবং ইংল্যান্ড এরই মধ্যে জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এ ধরনের টেস্ট খেলে ফেলেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদিন ৯৮ ওভার খেলা হবে, যা পাঁচ দিনের ম্যাচের চেয়ে বেশি। তাতে ম্যাচের ফল বের করে নেওয়া সম্ভব হবে কম সময়েই।
এই প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি হিসেবে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উদাহরণও। টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েও তারা টেস্ট খেলার জন্য দীর্ঘ বিরতিতে পড়ে। নতুন এই কাঠামো কার্যকর হলে এমন পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইসিসির ধারণা, চার দিনের টেস্ট চালু হলে শুধু সময় বা অর্থই নয়, বদলাবে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ার ধরনও। এটি হবে এক নতুন যুগের সূচনা, যেখানে আরও বেশি দেশ টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে এবং ক্রিকেট আরও বিস্তৃত, বৈচিত্র্যময় ও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠবে।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট স ট চ য ম প য়নশ প দলগ ল আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
নারী স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে সময় বাড়াল বিএসইসি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানিতে এক-পঞ্চমাংশ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে সময় বেধে দিয়েছিল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে অনেক কোম্পানি ব্যর্থ হওয়ায় এবং ওইসব কোম্পানির আবেদনের আলোকে সময়সীমা বাড়িয়েছে বিএসইসি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত গেজেটে এক বছর সময় দিয়ে গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে কমপক্ষে এক জন করে নারী স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের জন্য সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক কোম্পানি এ শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওইসব কোম্পানি থেকে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। যার আলোকে নারী স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।