শান্তর নিয়ন্ত্রিত ইনিংসে মুগ্ধ মুশফিক, চান ডাবল সেঞ্চুরি
Published: 17th, June 2025 GMT
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের প্রথমদিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। এর মধ্যে শান্তর সেঞ্চুরিতে মুগ্ধ হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক। তার মতে, শান্ত কোন সুযোগ না দিয়ে খুবই নিয়ন্ত্রিত ইনিংস খেলেছে। যা সেঞ্চুরির চেয়েও বেশি কিছু।
প্রথম দিন শেষে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, ‘শান্ত ব্যাটার হিসেবে ও অধিনায়ক হিসেবে অনেক দিন ধরে ভালো খেলছে। ক্যান্ডিতে সে এর আগে সেঞ্চুরি পেয়েছে। তবে আমার কাছে ভালো লেগেছে তার নিয়ন্ত্রিত ইনিংস। যেভাবে কন্ট্রোল করে খেলেছে, কোন সুযোগ না দেওয়া এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
গলে ২০৩ বলে সেঞ্চুরি করার পর বাধভাঙা উদযাপন করেন নাজমুল শান্ত। ২৬০ বল খেলে ১৩৬ রানে দিন শেষ করা শান্তর ওই উদযাপনের পক্ষে ঢাল ধরেছেন মুশফিক। জানিয়েছেন, শান্তর থেকে শুধু ডাবল সেঞ্চুরি কেন ২৫০ রান চান তিনি, ‘চেষ্টা থাকবে নিজের ইনিংস যতটা বড় করতে পারি। শান্তর যেহেতু একটাও দুইশ’ নেই, আশা থাকবে দুইশ’ করুক, আড়াইশ’ই বা কেন নয়।’
মুশফিক ক্যারিয়ারের ৯৭তম টেস্ট খেলতে নেমেছেন। কিছু দিন অফ ফর্মে ছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের শেষ ধাপে প্রতিটি ইনিংস বিশেষ বলে মন্তব্য করেছেন টেস্টে দেশের পক্ষে সর্বাধিক ৬ হাজারের ওপর রান করা মুশফিক, ‘আমি ক্যারিয়ারের শেষ দিকে আছি, প্রতিটি ইনিংস স্পেশাল। সামনে যে সুযোগ আছে নেওয়ার চেষ্টা করি। একটা জেনেরেশনকে ধাপে ধাপে উপরে নিয়ে যেতে হবে। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
গল টেস্টে প্রথম সেশনে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেট হলে সেখানে বড় রান করা যায়। সেজন্য দ্বিতীয় দিন নতুন করে শুরু করতে হবে বলেও জানিয়েছেন মুশফিক। তিনি জানান, নতুন বলে শেষ সেশনে মাত্র ১০ ওভার খেলা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন সকাল তাই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।