‘সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কারও কোনো অভিযোগ নেই। যার যার ভোট ইচ্ছামতো দিতে পারছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর বিএনপির রাজনীতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দুর্দিনে দলের ত্যাগী নেতারাই প্রাধান্য পাচ্ছেন।’ কথাগুলো বলছিলেন দৌলতপুর উপজেলার কালু আলী। তিনি পিয়ারপুর ইউনিয়নে বিএনপির কাউন্সিলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার।
কেন্দ্র ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী দৌলতপুরে বিএনপির ইউনিয়ন কাউন্সিল হচ্ছে। এর মাধ্যমে ১৪টি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হবে। ১০ জুন প্রাগপুর ইউনিয়নের কাউন্সিল দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আটটি ইউনিয়নে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২৪ জুন পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। দলের তৃণমূলের নেতারা বলছেন, আগেও কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশে এবার প্রত্যক্ষ ভোটে কমিটি গঠন হচ্ছে। এতে নেতৃত্ব তৈরির পাশাপাশি দল সুসংগঠিত হবে।
এর আগে উপজেলা সার্চ কমিটি কর্তৃক বাছাইয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়। বিগত সময়ে দলের জন্য নিবেদিত ও আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পরীক্ষিত কর্মীরা এতে পদ পেয়েছেন। এসব নেতা ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিলে ভোটার হয়েছেন। নির্বাচন ঘিরে নেতাকর্মীর মধ্যে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা বিরাজ করছে। 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে প্রচার। নির্বাচনে প্রবীণ নেতাদের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তরুণরাও। ভোট গ্রহণকালে মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মরিচা ইউনিয়নের বালিরদিয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পিয়ারপুর ইউনিয়নের রহিমা বেগম একাডেমি কেন্দ্রে দেখা যায়, কাউন্সিলররা স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। 
প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫১ জন করে ইউনিয়নে ৪৫৯ কাউন্সিলর বা ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। কাউন্সিল ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি বলে নেতারা জানিয়েছেন।
গত সোমবার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে নির্বাচনের বিষয়ে অবহিতকরণের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, আটটি ইউনিয়নের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। একটি গোষ্ঠী নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিরূপ মন্তব্য করে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না করে অভিযোগ থাকলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি অথবা তদারকি কমিটিকে অবহিত করার পরামর্শ দেন তিনি। 
নির্বাচন-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল। তিনি বলেন, কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। একইভাবে সব ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজা আহামেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, দেড় যুগ পর সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়েছে। পকেট কমিটি গঠনের সুযোগ না থাকায় নির্বাচন ঘিরে নেতাকর্মীর মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সিনিয়র নেতাকর্মীর সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পাঁচ সদস্যের পর্যবেক্ষণ দল কাজ করছে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত কর ম র ক উন স ল ব এনপ র গঠন কর পর ব শ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা ও নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধ করে ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্রুত গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবিগুলো উঠে আসে। বক্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সংসদীয় আসনে নারী আসন বৃদ্ধি, যুব প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থ রক্ষার সুপারিশ করেন।

কুড়িগ্রাম জেলা সদরের উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১টা থেকে জেলা পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একশনএইডের নেতৃত্বে সুশীল প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস)’ এ বৈঠকের আয়োজন করে। এ আয়োজনের প্রচার সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।

বিএনপির ৩১ দফায় নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মর্যাদার কথা বলা আছে উল্লেখ করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বৈঠকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আমাদের দল নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নে নারীদের জন্য সুযোগ রাখবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে চরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু ও যুবসমাজের প্রতিনিধি আরও বাড়ানো হবে।’

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
  • ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
  • চরাঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
  • বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রচার শুরু, প্রার্থীদের ছোটাছুটিতে উৎসবমুখর ক্যাম্পাস