লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটে নেতা নির্বাচন বিএনপি তৃণমূলের
Published: 17th, June 2025 GMT
‘সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। কারও কোনো অভিযোগ নেই। যার যার ভোট ইচ্ছামতো দিতে পারছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর বিএনপির রাজনীতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দুর্দিনে দলের ত্যাগী নেতারাই প্রাধান্য পাচ্ছেন।’ কথাগুলো বলছিলেন দৌলতপুর উপজেলার কালু আলী। তিনি পিয়ারপুর ইউনিয়নে বিএনপির কাউন্সিলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার।
কেন্দ্র ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী দৌলতপুরে বিএনপির ইউনিয়ন কাউন্সিল হচ্ছে। এর মাধ্যমে ১৪টি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হবে। ১০ জুন প্রাগপুর ইউনিয়নের কাউন্সিল দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আটটি ইউনিয়নে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২৪ জুন পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। দলের তৃণমূলের নেতারা বলছেন, আগেও কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশে এবার প্রত্যক্ষ ভোটে কমিটি গঠন হচ্ছে। এতে নেতৃত্ব তৈরির পাশাপাশি দল সুসংগঠিত হবে।
এর আগে উপজেলা সার্চ কমিটি কর্তৃক বাছাইয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়। বিগত সময়ে দলের জন্য নিবেদিত ও আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া পরীক্ষিত কর্মীরা এতে পদ পেয়েছেন। এসব নেতা ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিলে ভোটার হয়েছেন। নির্বাচন ঘিরে নেতাকর্মীর মধ্যে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা বিরাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে প্রচার। নির্বাচনে প্রবীণ নেতাদের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তরুণরাও। ভোট গ্রহণকালে মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মরিচা ইউনিয়নের বালিরদিয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পিয়ারপুর ইউনিয়নের রহিমা বেগম একাডেমি কেন্দ্রে দেখা যায়, কাউন্সিলররা স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫১ জন করে ইউনিয়নে ৪৫৯ কাউন্সিলর বা ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। কাউন্সিল ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি বলে নেতারা জানিয়েছেন।
গত সোমবার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে নির্বাচনের বিষয়ে অবহিতকরণের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, আটটি ইউনিয়নের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। একটি গোষ্ঠী নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিরূপ মন্তব্য করে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না করে অভিযোগ থাকলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি অথবা তদারকি কমিটিকে অবহিত করার পরামর্শ দেন তিনি।
নির্বাচন-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল। তিনি বলেন, কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। একইভাবে সব ইউনিয়নে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজা আহামেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, দেড় যুগ পর সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়েছে। পকেট কমিটি গঠনের সুযোগ না থাকায় নির্বাচন ঘিরে নেতাকর্মীর মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সিনিয়র নেতাকর্মীর সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পাঁচ সদস্যের পর্যবেক্ষণ দল কাজ করছে। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত কর ম র ক উন স ল ব এনপ র গঠন কর পর ব শ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বন্দরে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে ।
এ উপলক্ষে শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সরকার আশরাফুল ইসলাম, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান, উপজেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, সমবায় হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।
তারা আরও বলেন, সমবায় কেবল আর্থিক সংগঠন নয়, এটি একটি মানবিক আন্দোলনযা একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও ন্যায্য বণ্টনের মানসিকতা তৈরি করে।
আলোচনা সভায় বক্তারা সরকারি বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে সমবায় খাতকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, সঠিক নেতৃত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে সমবায় আন্দোলন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে সফল সমবায় সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।
র্যালিতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সমবায় সমিতির প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।