ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিজ নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। ইতোমধ্যে ইরান থেকে ভারতীয়দের সরানো শুরু করেছে দেশটির সরকার। ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র। নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ইসরায়েল ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে চীনের দূতাবাস। 

মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় নাগরিক, যারা নিজেদের যানবাহনের ব্যবস্থা করতে পারবেন, তাদেরও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শহর ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিছু ভারতীয়কে আর্মেনিয়ার সীমান্ত দিয়ে ইরান থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে দূতাবাস। 
মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে ভারতের গণমাধ্যম বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় উর্মিয়া শহর থেকে ১১০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আর্মেনিয়ার সীমান্তে পৌঁছেছেন। 
ইসরায়েল থেকে সরিয়ে নেওয়া নাগরিকদের বহনকারী ফ্লাইটগুলো স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ। 

স্লোভাক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি সোমবার রাতে রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় অবতরণ করেছে। ফ্লাইটে মোট ৭৩ জন ছিলেন।
পোল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, তারা প্রায় ২০০ নাগরিককে ইসরায়েল থেকে জর্ডানের মাধ্যমে সরিয়ে আনার আয়োজন করছে। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা মিসর ও জর্ডান থেকে দুটি বিমানে এই উদ্ধার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে, যার প্রথম ফ্লাইটটি বুধবার উড়াল দেবে।

মঙ্গলবার চীনের দূতাবাস নাগরিকদের অবিলম্বে ইসরায়েল ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নাগরিকদের জর্ডানের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। থাইল্যান্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে তারা সামরিক বাহিনীকে বিমান প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আজারবাইজানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ছয় শতাধিক বেশি-বিদেশি নাগরিক ইরান থেকে আজারবাইজানে প্রবেশ করেছেন। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ