ইরান-ইসরায়েল সংঘাত: নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ
Published: 18th, June 2025 GMT
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিজ নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। ইতোমধ্যে ইরান থেকে ভারতীয়দের সরানো শুরু করেছে দেশটির সরকার। ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র। নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ইসরায়েল ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে চীনের দূতাবাস।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় নাগরিক, যারা নিজেদের যানবাহনের ব্যবস্থা করতে পারবেন, তাদেরও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শহর ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিছু ভারতীয়কে আর্মেনিয়ার সীমান্ত দিয়ে ইরান থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে দূতাবাস।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে ভারতের গণমাধ্যম বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় উর্মিয়া শহর থেকে ১১০ ভারতীয় শিক্ষার্থী আর্মেনিয়ার সীমান্তে পৌঁছেছেন।
ইসরায়েল থেকে সরিয়ে নেওয়া নাগরিকদের বহনকারী ফ্লাইটগুলো স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশ দুটির কর্তৃপক্ষ।
স্লোভাক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি সোমবার রাতে রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় অবতরণ করেছে। ফ্লাইটে মোট ৭৩ জন ছিলেন।
পোল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, তারা প্রায় ২০০ নাগরিককে ইসরায়েল থেকে জর্ডানের মাধ্যমে সরিয়ে আনার আয়োজন করছে। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা মিসর ও জর্ডান থেকে দুটি বিমানে এই উদ্ধার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে, যার প্রথম ফ্লাইটটি বুধবার উড়াল দেবে।
মঙ্গলবার চীনের দূতাবাস নাগরিকদের অবিলম্বে ইসরায়েল ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নাগরিকদের জর্ডানের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। থাইল্যান্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে তারা সামরিক বাহিনীকে বিমান প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজারবাইজানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ছয় শতাধিক বেশি-বিদেশি নাগরিক ইরান থেকে আজারবাইজানে প্রবেশ করেছেন। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা