চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে আবারও ২০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার ভোরে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই ভারতের ৭১ ব্যাটালিয়নের সভাপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য্যরা বাংলাদেশের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তের ৪/৫-১ এস আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে দিয়ে এই ২০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে।

এর আগে ভারতীয় পুলিশ ভারতের হরিয়ান এলাকা থেকে ইটভাটায় কাজ করার সময় তাদেরকে আটক করে বলে জানা যায়। বাংলাদেশের ঠেলে পাঠানো ২০ জনের মধ্যে ৩ পুরুষ, ৭ নারী, ৪ কিশোরী ও ৬ শিশু রয়েছে।

সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু। ঠেলে পাঠানো ২০ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু আরও জানান, ঠেলে দেওয়া এ ২০ জন বিভিন্ন সময় প্রায় দশ বছর আগে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর হরিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে তারা কাজ করছিল। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তের ৪/৫-১ এস আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঠেলে দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবির একটি টহলদার সীমন্ত এলাকা থেকে ২০ জনকে হেফাজতে নেয় এবং স্থানীয় ক্যাম্পে থাকার ব্যবস্থা করেন।

এই ২০ জনকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।

এর আগে ২ দফায় গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে গত ২৮ মে রাতে ১৭ জনকে ও ৩ জুন ভোরে ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ঠেলে পাঠায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ শ বগঞ জ প শইন ব এসএফ উপজ ল র শ বগঞ জ ২০ জনক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক