নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রী ও গ্রুপটির পরিচালক মিসেস নাসরিন ইসলামের নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাট জব্দ ও ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

ফ্ল্যাট দু’টি মহাখালী ডিওএইচএসে অবস্থিত, যার মূল্য ৪ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করেছে দুদক। এছাড়া ৫৫টি কোম্পানিতে নাসরিন ইসলামের নামে থাকা বিপুল শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নাসরিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২০ কোটি ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগদখলে রাখার দায়ে মামলা করা হয়েছে। 

তদন্তে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, আসামি তার নামীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ বিক্রি বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন। এসব সম্পদ বিক্রি হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির কারণ রয়েছে। তাই অবিলম্বে এসব সম্পদ জব্দ ও ফ্রিজ  করা দরকার। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ অবর দ ধ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ