কিছু দল অতীতের ত্রুটিপূর্ণ ক্ষমতাকাঠামোয় গিয়ে ‘ম্যানিপুলেট’ (নিজ উদ্দেশ্য সাধনে কাজে লাগানো) করার কথা ভাবছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

আলোচনায় কিছু রাজনৈতিক দল পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে না মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘অতীতে রাষ্ট্রকাঠামোয় ত্রুটি থাকার ফলেই আমাদের এই পরিস্থিতিতে বসতে হচ্ছে। অতীতের কাঠামো সঠিক থাকলে গণ–অভ্যুত্থান হতো না। কাজেই যাঁরা আলোচনায় অনড় অবস্থান ধরে রাখতে চান, তাঁরা পরিস্থিতিকে আমলে নিচ্ছে না।’

এ প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, জনগণবিবর্জিত ক্ষমতাকাঠামো কখনো স্থায়ী নয়।’ আলোচনা সমাপ্ত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ইলেকটোরাল কলেজের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুইবারের বেশি হলে ক্ষমতা এককেন্দ্রিক হয়ে যায় উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছি। কারণ, একই ব্যক্তি বারবার প্রধানমন্ত্রী হলে ক্ষমতা ফ্যাসিবাদী কাঠামোর দিকে যায়। এই পদ্ধতিতে যেকোনো দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক কাঠামোও ভেঙে যায়।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট গোপন ব্যালটে গ্রহণের পক্ষে মত দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দের পক্ষে এনসিপি মতামত দিয়েছে।’

এ ছাড়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন সহযোগী ব্যক্তি ও উপাদান আবার সক্রিয় হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’

কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।

আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবি: জামায়াত
  • সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের সুপারিশ, একমত নয় দলগুলো
  • ‘সংবিধান আদেশ’ জারির সুপারিশ করতে পারে কমিশন: আলী রীয়াজ
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
  • কমিটি গঠন, প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত 
  • বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
  • বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
  • বিএনপি নির্বাচনমুখী কর্মসূচিতে যাবে
  • দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন
  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হতে হবে