পাকা কাঁঠাল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন তুলতুলে নরম কেক। পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁঠাল দিয়ে কেক বানিয়ে বাড়ির ছোট-বড় সবাইকে খাওয়াতে পারেন। স্ন্যাকস হিসেবেও ভালো এই পদ। জেনে নিন রেসিপি।
উপকরণ
পাকা কাঁঠালের রস: ১ কাপ
আরো পড়ুন:
ভোজনরসিকদের জন্য তৈরি হচ্ছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস ‘বাদামের বরফি’
ময়দা: ১ কাপ
তরল দুধ: ২ টেবিল চামচ
ডিম: ২টা
চিনি: আধা কাপ
বেকিং পাউডার: আধা চা-চামচ
ঘি: ১ টেবিল চামচ
প্রথম ধাপ: প্রথমে ডিম ও চিনি একসঙ্গে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এবার কাঁঠালের রসের সঙ্গে মেশান। এর মধ্যে ময়দা ও বেকিং পাউডার অল্প করে মেশান। এ বার ঘি ও তরল দুধ মেশান। সব উপাদান এমনভাবে মেশান যাতে দলা পাকিয়ে না থাকে।
দ্বিতীয় ধাপ: কেকের ডাইসে ঘি বা তেল ব্রাশ করে প্রি-হিট ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি তাপে ৩০ মিনিট বেক করুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় দিনই কলম্বো টেস্ট শ্রীলঙ্কা মুঠোয়
কলম্বো টেস্টের প্রথম দিন বল হাতে কর্তৃত্ব করেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে শাসন করেছে ব্যাট হাতে। পাথুম নিশাঙ্কা দুর্দান্ত এক অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছেন। দিনেশ চান্ডিমাল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও দিন শেষে স্বাগতিকরা ৭৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান তুলেছে। ৪৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিনই টেস্ট হাতের মুঠোয় নিয়েছে।
নিশাঙ্কা-চান্ডিমালের দাপট: দ্বিতীয় দিন সকালেই হাতে থাকা দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইনিংস শুরু করে ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি পায় লঙ্কানরা। লাহিরু উদারা ৪০ রান করে ফেরেন। এরপর পাথুম নিশাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল ১৯২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচই একপ্রকার বাংলাদেশের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। নিশাঙ্কা ২৩৮ বলে ১৪৬ রান করেছেন। ১৮টি চার মেরেছেন তিনি। চান্ডিমাল ৯৩ রান করে আউট হন। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন তিনি। উইকেট দুটি নেন তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
আড়াইশ’ ছোঁয়া পুঁজি: কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন। উপায় নেই দেখে ব্যাট চালিয়ে খেলেছেন তাইজুল ইসলাম। ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ হওয়া ইনিংস ২৪৭ রানে নিয়েছেন তিনি। তাইজুল খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস। সকালে বাংলাদেশের ইনিংসে ৭.৩ ওভার স্থায়ী ছিল।
মুশফিক-লিটনের আত্মহনন: কলম্বোয় ৭৬ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারানোর পর মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলকে সেরা ভরসাটা দিচ্ছিলেন। ততক্ষণে বল পুরনো হয়েছে, উইকেট সহজ হয়েছে। নির্ভার ব্যাটিংও করছিলেন তারা। কিন্তু ৬৭ রানের জুটি দিয়ে আত্মঘাতী শট খেলে আউট হন লিটন। পরেই সুইপ খেলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক তারা। তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৫ রান করেন।
লাঞ্চ করে সাদমান-শান্তর ভাত ঘুম: শুরুতে এনামুল বিজয় ও মুমিনুল হক ফিরলেও ওপেনার সাদমান ইসলাম ভালো ব্যাটিং করছিলেন। গল টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি পাওয়া নাজমুল শান্ত ক্রিজে এসে তাকে নিয়ে লাঞ্চে যান। দল তখন দুই উইকেট হারিয়েছে। কিন্তু লাঞ্চের পরই তিন রান করে যোগ করে সাদমান ও শান্ত আউট হন। সাদমান ৪৬ রান করেন। শান্ত করেন ৮।
অভিষিক্ত সোনালের বাজিমাত: শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে আসিথা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নিয়েছেন। দলে ফেরা বাঁ হাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা বাজিমাত করেছেন। তিনি ৩ উইকেট নেন যার প্রথম দুটি ছিল লিটন ও মুশফিকের। শেষ ব্যাটার তাইজুলকেও ফিরিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ দিনের সেরা তিন উইকেটই গেছে তার দখলে।