টাঙ্গাইলের সখীপুরে একস‌ঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দি‌চ্ছেন তিন‌ বোন। বৃহস্প‌তিবার (২৬ জুন) শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় তারা উপজেলার সখীপুর আবা‌সিক ম‌হিলা ক‌লেজের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নি‌য়ে‌ছে।

একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া তিন বোন সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বড় মে‌য়ে সুমাইয়া ইসলাম (১৯), মেজো মে‌য়ে সাদিয়া ইসলাম (১৮) ও ছোট মে‌য়ে রাদিয়া ইসলাম (১৭)। 

একসঙ্গে তিন‌ বো‌নের পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা‌টি সবার নজর কে‌ড়ে‌ছে। তিন বোন উপজেলার সখীপুর সরকা‌রি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানা গে‌ছে, শিক্ষার্থীদের বাবা শ‌ফিকুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী। তিন‌ বোনের জন্মও সেখা‌নেই হয়েছে। ২০১০ সা‌লে সৌ‌দি আর‌বের মক্কায় ব‌্যবসা-বা‌ণিজ‌্য বাদ দি‌য়ে প‌রিবার নি‌য়ে দে‌শে ফেরেন শ‌ফিকুল ইসলাম।

শফিকুল ইসলাম বলেন, “বিগত এসএসসি পরীক্ষায় মেয়েদের ফলাফলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি এবার এইচএসসি পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল কর‌বে। তারা উচ্চশিক্ষা লাভে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ব‌লে ম‌নে ক‌রি।”

সখীপুর আবা‌সিক ম‌হিলা ক‌লে‌জের অধ‌্যক্ষ এম এ রউফ বলেন, “ওই তিন বোন মেধাবী শিক্ষার্থী। এর আগে তারা প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এসএস‌সি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে। এবারের পরীক্ষায়ও তারা কৃতিত্বের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখবে ব‌লে আশা ক‌রি।” 

তারা জানান, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করাই প্রধান লক্ষ‌্য। তা‌দের ইচ্ছা মে‌য়েরা উচ্চ শিক্ষালাভ ক‌রে প্রতি‌ষ্ঠিত হ‌য়ে নি‌জে‌দের পাশাপা‌শি সমাজ ও দে‌শের কল‌্যা‌ণে ভূ‌মিকা রাখ‌বে। তিন‌বোন সক‌লের কা‌ছে দোয়া চে‌য়ে‌ছেন।

ঢাকা/কাওছার/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ল ইসল ম পর ক ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগদানের গুঞ্জনের মাঝে হুমার রহস্যময় পোস্ট
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল