ভালো ‘পারফরম্যান্সের' স্বীকৃতি হিসেবে মার্চেন্টদের বিমানের টিকিট দিয়ে পুরস্কৃত করেছে কুরিয়ার সার্ভিস পাঠাও। তারা চায়না, নেপাল ও কক্সবাজার রাউন্ড ট্রিপের জোড়া এয়ার টিকিট জিতেছেন।বৃহস্পতিবার এক আনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
পাঠাও জানায়, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে এ ধরনের পুরস্কার পাঠাও কুরিয়ার মার্চেন্টদের অনুপ্রেরণা জোগায়। এটি শুধু তাদের পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি নয়, বরং নতুন ও উদীয়মান মার্চেন্টদের জন্য একটি উৎসাহব্যঞ্জক উদাহরণও। মার্চেন্টদের ব্যবসার অগ্রগতিতে সহায়তা করার ব্যাপারটি চিন্তা করেই এ টিকিটগুলো নির্বাচন করা হয়। তাই কক্সবাজার ও নেপালের মতো ভ্রমণের গন্তব্যের পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছে চায়নার মতো ব্যবসায়িক ট্রিপও। পাঠাও কুরিয়ার ভবিষ্যতেও মার্চেন্টদের ভালো পারফরম্যান্সকে উৎসাহ দিতে এমন আয়োজন অব্যাহত রাখবে।
বেস্ট মার্চেন্ট (পুরুষ) ক্যাটাগরিতে ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা কাপল এয়ার টিকিট জিতে নেন ইজি শপ বিডির নাইম হোসেন, বেস্ট মার্চেন্ট (নারী) ক্যাটাগরিতে ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা কাপল এয়ার টিকিট জিতে নেন ‘মেহেদি বাই মিমির’ তানজিলা আকতার, বেস্ট ইমারজিং মার্চেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা কাপল এয়ার টিকিট জিতেন ‘পাঁচমিশালি বাই তৃনা’র তানিয়া ইসলাম তৃনা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লিপুর কলমে লেখা হবে না মোসাদ্দেকের নাম
মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবসর নেওয়ায় ওয়ানডে দলে পরিবর্তনটা অনিবার্যই ছিল। মিডলঅর্ডারে জাকের আলী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি আগে থেকেই দুই সিনিয়রের জায়গা ‘বুকিং’ দিয়ে রেখেছিলেন। তারা দু’জনই আছেন শ্রীলঙ্কা সফরের দলে।
তবে ওলটপালট হয়েছে ওপেনিং স্লটে। চোট ও ইনটেন্টের কথা বলে নেওয়া হয়নি সৌম্য সরকারকে। তাঁর জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে ঢাকা লিগে ভালো করা নাঈম শেখকে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর ভাষায় নাঈমের ‘ইনটেন্ট’ দেখে ভালো লেগেছে তাদের। যদিও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিলেটে খেলা তিনটি ৫০ ওভারের ম্যাচে ১৮, ৪০ ও ৪ রান করা নাঈমের ব্যাটিংয়ের ইনটেন্ট ও ইমপ্যাক্টের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি লিপু।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঘোষিত ১৬ জনের স্কোয়াডের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জাতীয় দলে ক্যারিয়ারের শেষই বলে দেন পরোক্ষে। ঢাকা লিগের সেরা খেলোয়াড় মোসাদ্দেক সব্যসাচী পারফরমার। মিডলঅর্ডারে ফিনিশার রোলে ভালো করা ২৯ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের বোলিংটাও কার্যকর। চার টেস্ট, ৪৩ ওয়ানডে ও ৩৩টি টি২০ খেলা মোসাদ্দেক ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দলে থাকার দাবি জোরালো করলেও নির্বাচক প্যানেলের কাছে উপেক্ষিত।
অথচ তিনি মাহমুদউল্লাহর জায়গায় ভালোভাবেই বিবেচনায় থাকতে পারতেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিপু বলেন, ‘আপনার কথার সরাসরি উত্তর দিতে চাই। আপনি আপনার সাংবাদিকতার আলোকে মনে করছেন যে মোসাদ্দেক হোসেন এই মুহূর্তে জাতীয় দলে খেলা উচিত। আমি ঠিক সেই জিনিসটা মনে করছি না। পরিষ্কারভাবে বলতে চাচ্ছি, যতক্ষণ মেহেদী হাসান মিরাজ আছে, মোসাদ্দেকের কোনো সুযোগ নেই। কোনো জিনিস খুব স্পষ্টভাবে হওয়া উচিত। আপনারা বুঝে অনেক সময় না বোঝার ভান করে কথা বলেন, এটা পীড়াদায়ক।’
মিরাজ-মোসাদ্দেক একই ঘরানার বোলিং অলরাউন্ডার। তবে ওয়ানডে দলে যোগ হওয়ার পর থেকে নিজেকে শানিত করতে পেরেছেন মিরাজ। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং ভালো করে প্রমোশন পেয়েছেন চার নম্বরে। সেক্ষেত্রে সাত নম্বরে মোসাদ্দেককে নেওয়া হলে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংটা দলের জন্য বোনাস হতে পারত। সেখানে লিপু স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মোসাদ্দেকের ঠিকানা জাতীয় দল নয়। প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় দলে না নিলে বাংলাদেশ টাইগার্স বা ‘এ’ দলে নেওয়া কেন? নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে কেন তাঁকে রাখা হয়েছে?
একজনের লিগের পারফরম্যান্স জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত না হলেও অন্যজনেরটা গ্রহণীয়। তিনি হলেন ওপেনিং ব্যাটার নাঈম শেখ। লিগ ম্যাচে তাঁর ইনটেন্ট দেখে মুগ্ধ প্রধান নির্বাচক। যদিও ‘এ’ দলের সিরিজে ইনটেন্ট ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি।
বাঁহাতি এ ওপেনারকে নেওয়ার পেছনে লিপুর ব্যাখ্যা, ‘দল নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে আমরা নির্বাচকরা একটা বেস্ট পসিবল কম্বিনেশনের কথা ভাবি। সেটা ভাবার সময় ওপেনারের জায়গা তো একটা স্পেশালিস্ট জায়গা। তখন একজন বিকল্প ওপেনারের কথা চিন্তা করতে হয়। দলে তো ওপেনার তিনজন সাধারণত থাকে। সেই আলোকে আমাদের যখন চিন্তা করতে হয়েছে, এই মুহূর্তে আমাদের তৃতীয় ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে ভালো এবং অ্যাভেইলেবল আছে, সেই আলোকেই নাঈম শেখ এসেছে দলে।’
সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সুযোগ দেওয়ায় সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পুনর্জীবন পায় ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। গত বছর গ্লোবাল টি২০ লিগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ভালো খেলে জায়গা করে নেন টি২০ দলে। চোটের কারণে সম্প্রতি নিয়মিত খেলতে না পারা সৌম্যকে নেওয়া হয়নি। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো খেলেও নির্বাচকদের মন জয় করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।
জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া সৌম্য-সোহান খেলবেন গ্লোবাল টি২০ লিগে। পরিবর্তনের স্কোয়াডে প্রথম সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। বাদ পড়েছেন আরেক বাঁহাতি নাসুম আহমেদ। গোড়ালির চোট পুনর্বাসন করে দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডে দলের ক্রিকেটাররা শ্রীলঙ্কা যাবেন ২৭ জুন। ২, ৫ ও ৮ জুলাই কলম্বো ও ক্যান্ডিতে হবে তিন ম্যাচের সিরিজ।