গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শুধু ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭২
Published: 27th, June 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছেন। গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
২৪ ঘণ্টায় নিহত ব্যক্তিদের এ তালিকায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারানো মানুষেরাও আছেন।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, গত চার সপ্তাহে অন্তত ৫৪৯ জন ফিলিস্তিনি ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র বা এগুলোর আশপাশে আরও ৪ হাজার ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে আনুমানিক ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬ হাজার ২৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৮ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয়: এনবিআর
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সব কয়টি ঘর ‘শূন্য’ হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় বলে ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক কিছু ভ্রান্ত ধারণার পোস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে।
এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাঁদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা প্রদান করে আসছেন। এসব জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।
রবিবার (১০ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়, করদাতাদের জানানো যাচ্ছে যে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তাঁর প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে।
করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোন একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বে-আইনি এবং এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে তাঁর আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে করদাতাকে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।
একজন করদাতার আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায় সংক্রান্ত বিষয়ে রিটার্নে সঠিক ঘোষণা প্রদান করা একজন করদাতার পবিত্র নাগরিক ও আইনি দায়িত্ব। করদাতার প্রকৃত আয়ের পরিমাণ আইনানুযায়ী করযোগ্য না হলে তাঁকে কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে কর প্রদেয় না হলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন না করে শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে শুন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করার কোন সুযোগ আয়কর আইনে নেই।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করে যে, করদাতা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে আয়কর রিটার্নে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন করে দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হবেন। একইসাথে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতারনামূলক জিরো রিটার্নের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে সুরক্ষিত রাখবেন।
ঢাকা/নাজমুল/এস