এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কিসের, কী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির
Published: 4th, July 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে থানায় হামলা চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কিসের? কী নির্বাচন হবে? এ জন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ অবশ্যই তৈরি করতে হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির এই মন্তব্য করেন। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্যই সংস্কারের প্রশ্নগুলো এসেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, যদি মৌলিক বিষয়গুলোতে কার্যকর সংস্কার হয়, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ একটা ভালো নির্বাচন হবে। এবং “যদি”র কোনো সুযোগ নেই। সংস্কার করতে হবে এবং ভালো নির্বাচনও করতে হবে।’
‘মব–সন্ত্রাস’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘মব সর্বকালে বাংলাদেশে ছিল। এটা ’৭২ সাল থেকে শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত এটা কন্টিনিউ (অব্যাহত) করছে। কিন্তু এই মব আমরা চাই না, আমরা মবের ঘোর বিরোধী। দেখবেন, এসব মবে জামায়াতে ইসলামীর কোনো কর্মী-সমর্থক কোথাও জড়িত নেই।’
মব–সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের লোক, তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শুধু রাষ্ট্রকে সব (দায়িত্ব) দিলে হবে না। বিভিন্ন দলের লোক যারা জড়িত আছে, ওই দলের মৌলিক দায়িত্ব নিজের কর্মীদের আগে সামাল দেওয়া। এরপরে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করবে পাশাপাশি।’
মব নির্মূল করার আশ্বাস দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘বিচার একটাই হবে, বিচার কারও হাতে তুলে দেওয়া হবে না। বিচার থাকবে আদালতের হাতে ইনশা আল্লাহ।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ শেষে রংপুরে দলের জনসভায় যোগ দিতে রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত আম র
এছাড়াও পড়ুন:
ছেলেরা তার বাবার রক্ত দেখেছে: কারিনা
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়; একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এই দৃশ্যপটের সাক্ষী সাইফ-কারিনার দুই শিশু পুত্র।
কয়েক দিন আগে বরখা দত্তকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কারিনা কাপুর খান। এ আলাপচারিতায় ভয়ংকর সেই ঘটনা কারিনা ও তার সন্তানদের ওপরে কতটা প্রভাব পড়েছে তা ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেত্রী।
কারিনা কাপুর খান বলেন, “সন্তানের ঘরে অন্য কাউকে দেখলে কেমন অনুভূতি হয়, তা নিয়ে আমি এখনো কিছুটা সংগ্রাম করছি। মুম্বাইতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা আপনি কখনো শুনেননি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার। মুম্বাইয়ে বাড়িতে হাঁটছে এবং কারো স্বামীর ওপরে আক্রমণ করার কথাও কখনো শুনিনি। আমরা এখনো শতভাগ ঠিকঠাকভাবে বুঝতে পারিনি। অন্তত আমি না। প্রথম কয়েক মাস আমি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। ঘুমানো এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা কঠিন ছিল।”
ঘটনাটিকে ‘মৃত্যুর’ সঙ্গে তুলনা করে কারিনা কাপুর খান বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপলদ্ধি করতে পারছি, স্মৃতি ক্রমশ ম্লান হয়ে যায়! তবে এটি আপনার হৃদয়ে থাকে। এটি মৃত্যুর মতো। আপনি যখন কাউকে হারান, তখন সত্যি এটি কাটিয়ে উঠতে পারেন না। আমি সবসময় অনুভব করেছি, আপনি কখনো এটি কাটিয়ে উঠতে পারেন না। কিন্তু স্মৃতি দিন দিন ম্লান হয়ে যায়।”
আরো পড়ুন:
প্রাক্তন স্বামীর শেষকৃত্যে কারিশমা
সালমান খুব বাজে অভিনেতা, কারিনার বক্তব্য ভাইরাল
দুই পুত্রকে ভালো রাখার জন্য ভয়-উদ্বেগ থেকে দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করেন কারিনা কাপুর খান। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “সন্তানদের জন্য আমি ভয় নিয়ে বাঁচতে চাইনি। কারণ তাদের উপর এই চাপ চাপিয়ে দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত। ভয়-উদ্বেগের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমি একজন মা, একজন স্ত্রী। সুতরাং এই সত্যের ভারসাম্য বজায় রাখার জার্নিটা কঠিন ছিল। এটি আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমরা নিরাপদে আছি, এজন্য আনন্দিত। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।”
সাইফ আলী খানের ওপরে হামলার ঘটনা তার পুত্রের উপরে প্রভাব ফেলেছে। এ বিষয়ে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি আশা করি, আমার ছেলেরা দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে। কারণ তারা বাবাকে ছুরিকাঘাত হতে দেখেছে। বড় ছেলে (জে) এখনো বলে, ‘আমার বাবা ব্যাটম্যান এবং আয়রন ম্যান, যে কারো মোকাবিলা করতে পারে।”
ব্যাখ্যা করে কারিনা কাপুর খান বলেন, “তারা তার বাবার রক্ত এবং সবকিছু দেখেছে। আশা করি, এই অভিজ্ঞতা তাদের আলাদা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। তারা আশ্রয় পেয়েছে, তারপর তারা এটি দেখেছে। তাই আমার মনে হয়, এই অভিজ্ঞতা তাদের সেই আশ্রয়হীন জীবন থেকে বের করে এনেছে। এটি ঘটতে পারে— এই বাস্তবতায় তাদের নিয়ে এসেছে। অবশ্যই, ৪ এবং ৮ বছর বয়সে তাদের এটি দেখা উচিত নয়।”
অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাইফ আলী খান। ২০০৭ সালে ‘টশান’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরস্পরের প্রেমে পড়েন তারা। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি।
২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। ২০১৬ সালে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান তৈমুর আলী খান। ২০২১ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি এ জুটির সংসার আলো করে জন্ম নেয় দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীর আলী খান।
তথ্যসূত্র: লাইভ মিন্ট
ঢাকা/শান্ত