দেশে এখনও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হয়নি: ফয়জুল করীম
Published: 10th, July 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, শুধু নেতা আর দলের পরিবর্তন করলেই দেশের শান্তি আসবে না, যতদিন পর্যন্ত নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন না হয়। দুই নম্বর জমিতে এক নম্বর ফসল হয় না। দুই নম্বর ওস্তাদের কাছে এক নম্বর ছাত্র হয় না। যতদিন চরিত্রবান, আদর্শ ভিত্তিক, ন্যায় ভিত্তিক লোক চেয়ারে বসবে না ততদিন পর্যন্ত এ দেশে নীতি ও আদর্শের প্রতিফলন ঘটবে না। তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যে পরিবেশ আছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা মনে করি স্থানীয় নির্বাচন আগে করে দেখা উচিৎ। যদি দেখি স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে তাহলে মনে করব জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘প্রশাসনকে এখনও ঢেলে সাজানো হয়নি। সুতরাং দুই দিন আগে হোক আর পরে হোক সংস্কার ব্যতীত সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন- এই তিন দাবিকে সামনে নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সকল আদর্শের মানুষ সংসদে যেতে পারবে। তাহলে সার্বজনীন সংসদ হবে। আর সর্বজনীন সংসদ হলে প্রত্যেকের দাবি দাওয়া সংসদে পেস করতে পারবে। রাস্তায় হরতাল করতে হবে না।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ফয়জুল করীম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ব্যবসা করতে পারছে না। বিএনপির কি গুণ? নয় মাসে দেড়শ খুন। চাঁদা তোলে পল্টনে, চলে যায় লন্ডনে। এটা কি দেখার জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম, সংগ্রাম করেছিলাম? আমরা চাই এ দেশ শান্ত হোক। সবার অধিকার বাস্তবায়ন হোক। মানুষ যেন চাঁদাহীন একটা জীবন যাপন করতে পারেন।’
এ সময় বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আদর শ
এছাড়াও পড়ুন:
নবীগঞ্জে সংঘর্ষ: সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৭ জন
স্থানীয় দু’জন গণমাধ্যমকর্মীর বিরোধের জেরে সোমবার নবীগঞ্জে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একজন, আহত শতাধিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটক হয়েছেন সাতজন। তবে এখনও কোনো পক্ষ মামলা করেনি।
সংঘর্ষের পরদিন মঙ্গলবার নবীগঞ্জ এক অচেনা শহরে পরিণত হয়। প্রতিটি সড়ক ছিল জনশূন্য। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। সড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়া আর ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ও যানবাহন। রাস্তায় যে দু-একজন চলাচল করছিলেন, তাদের কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন না।
নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও নবীগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ছাবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষে নবীগঞ্জ শহরের দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। হাসপাতাল-ক্লিনিকও রক্ষা পায়নি। প্রশাসন সংঘর্ষ শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে ক্ষয়ক্ষতি কম হতে পারত।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে।