রাজধানী ডেমরার মিরপাড়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চলন্ত বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বোরহান উদ্দিন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি পেশায় পিকআপচালক ছিলেন।

বোরহানের স্ত্রীর বড় ভাই মো. সোহেল আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, বোরহান ডেমরায় একটি বরফ ও ককশিট কারখানার পিকআপচালক ছিলেন। তিনি সপরিবার ডেমরার মিরপাড়ার শুকনা টেংরা এলাকায় থাকতেন।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ১টার পর ডিউটি শেষে কর্মস্থল থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে তিনি মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। একপর্যায়ে মিরপাড়া শিকদার পাম্পের সামনে দ্রুতগতির রমজান পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে দুজন গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বোরহানকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বন্ধুকে নগরীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) স্থানান্তর করা হয়। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান বলেন, রমজান পরিবহনের বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বোরহান বিবাহিত ছিলেন। তাঁর বাবার নাম সফর উদ্দিন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব রহ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ