অন্তর্বর্তী সরকার বিচারের দৃশ্যমান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে দিয়ে যেতে চায়: আসিফ মাহমুদ
Published: 11th, July 2025 GMT
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই আন্দোলনের মামলার উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান বিচারের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে দিয়ে যেতে চায়। তবে বিচার একটি চলমান ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হলে আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা হচ্ছে যে আগামী ৫ আগস্ট যদি ঘোষণাপত্র দেওয়া যায়, তবে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে আসা প্রয়োজন। আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য শেষে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। চূড়ান্ত সময় আসলে প্রশাসন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সরকারের দিক থেকে সংস্কারের একটি রুপরেখা দেওয়া হয়েছে। কমিশনগুলো যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে এগুলোর বাস্তবায়নে কাজ করছে। যেগুলো সরকারি আদেশে বাস্তবায়ন সম্ভব এগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে। সংবিধানসহ যেসব বিষয়গুলো আরও একটু জটিল, সেগুলো একটি চার্টারের মাধ্যমে সমঝোতায় আনা হবে। প্রয়োজনে পরবর্তী যে কোনো সরকার এগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।’
এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সনদে সই করব কি না অনুষ্ঠানে গেলে দেখতে পারবেন: তাহের
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আগামী শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তাঁরা দাওয়াত পেয়েছেন এবং আশা করছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। সনদে সই করবেন কি না, সেটা অনুষ্ঠানের দিন সবাই দেখতে পারবেন।
আজ বুধবার রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অতি জরুরি বৈঠক শেষে বের হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
সনদে স্বাক্ষর করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘১৭ তারিখে (শুক্রবার) আমরা আশা করি, যাব। মাত্র এক দিন বাকি আছে, ওই দিন গেলেই ইনশা আল্লাহ দেখে ফেলবেন।’ কোনো অনিশ্চয়তা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে রকম অনিশ্চয়তা আমরা দেখি না।’
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, গণভোট আগে হতে হবে। তারা নভেম্বর মাসে গণভোটের প্রস্তাব করেছে। নভেম্বরে গণভোট হলে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, এটা তারা চায়।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে তাতে ভোট পড়ার হার কম হবে। কারণ, রাজনৈতিক দলের কর্মী–সমর্থকরা তাঁদের পছন্দের মার্কায় ভোট দিতে বেশি আগ্রহী থাকবেন। তখন গণভোটের গুরুত্বই থাকবে না। সে জন্য তাঁরা গণভোট নভেম্বরে করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ঐকমত্য কমিশনকে তাঁরা বলেছেন, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেগুলো একটি প্যাকেজ করে একটি প্যাকেজেই গণভোট হতে হবে।
গণভোটের জন্য রাজি হওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান জামায়াতে ইসলামীর ওই নেতা। তবে গণভোটের সময় নিয়ে ভিন্নতা থেকে গেছে উল্লেখ করে তাহের বলেন, গণভোট হবে সংস্কার কমিশনের জন্য। জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। গণভোটের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নির্বাচনী আচরণে কিছু পরিবর্তন আনবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ এবং ‘পিআর সিস্টেম বাই ভোটার নট বাই দি এমপিস’ এ ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। সুতরাং নির্বাচনের আগেই এই সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী উচ্চকক্ষের ভোট হবে। যদি এটা নির্বাচনের দিনই হয়, তাহলে উচ্চকক্ষ তো পাস হলো না। তাহলে কি আবার একটা নির্বাচন হবে?