লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চার বাংলাদেশি মারা গেছেন।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে ফিরছেন আরো ১৭৭ বাংলাদেশি

লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে উপকূলীয় শহর আল-খোমসের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম নৌকাটিতে ২৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন, যাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। তবে নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় নৌকায় ছিলেন ৬৯ জন। এর মধ্যে দু’জন মিশরীয় এবং কয়েক ডজন সুদানি নাগরিকও ছিলেন বলে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে। তবে তাদের ভাগ্যে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি।  নৌকাটিতে আটজন শিশু ছিল বলেও জানানো হয়।

রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আল-খোমস লিবিয়ার প্রধান অভিবাসী ট্রানজিট রুটগুলোর একটি। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর দেশটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্র ও সংঘাতপীড়িত অঞ্চল থেকে ইউরোপগামী মানুষের প্রধান যাত্রাপথে পরিণত হয়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কালো প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো মৃতদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে মেঝেতে রাখা আছে। অপরদিকে, স্বেচ্ছাসেবকেরা জীবিতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। উদ্ধার ব্যক্তিদের কম্বলে মোড়া অবস্থায় মাটিতে বসে থাকতেও দেখা যায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, উদ্ধারকার্যে কোস্টগার্ড ও আল-খোমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা অংশ নেন। শহরের পাবলিক প্রসিকিউশনের নির্দেশনায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, অক্টোবরের মধ্যভাগে ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূল থেকে ৬১ জন অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে আইওএম জানায়, লিবিয়া উপকূলে ৭৫ জন সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় আগুন ধরে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়।

ঢাকা/ইভা   

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়ায় নৌকাডুবি: ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চার বাংলাদেশি মারা গেছেন।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

লিবিয়া থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে ফিরছেন আরো ১৭৭ বাংলাদেশি

লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে উপকূলীয় শহর আল-খোমসের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম নৌকাটিতে ২৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন, যাদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। তবে নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দ্বিতীয় নৌকায় ছিলেন ৬৯ জন। এর মধ্যে দু’জন মিশরীয় এবং কয়েক ডজন সুদানি নাগরিকও ছিলেন বলে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে। তবে তাদের ভাগ্যে কী হয়েছিল তা জানা যায়নি।  নৌকাটিতে আটজন শিশু ছিল বলেও জানানো হয়।

রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আল-খোমস লিবিয়ার প্রধান অভিবাসী ট্রানজিট রুটগুলোর একটি। ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর দেশটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্র ও সংঘাতপীড়িত অঞ্চল থেকে ইউরোপগামী মানুষের প্রধান যাত্রাপথে পরিণত হয়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কালো প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো মৃতদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে মেঝেতে রাখা আছে। অপরদিকে, স্বেচ্ছাসেবকেরা জীবিতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। উদ্ধার ব্যক্তিদের কম্বলে মোড়া অবস্থায় মাটিতে বসে থাকতেও দেখা যায়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, উদ্ধারকার্যে কোস্টগার্ড ও আল-খোমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা অংশ নেন। শহরের পাবলিক প্রসিকিউশনের নির্দেশনায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, অক্টোবরের মধ্যভাগে ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূল থেকে ৬১ জন অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে আইওএম জানায়, লিবিয়া উপকূলে ৭৫ জন সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় আগুন ধরে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়।

ঢাকা/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ