নোবেলজয়ী নার্গিসকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে: নোবেল কমিটি
Published: 12th, July 2025 GMT
নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি তেহরান থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে নোবেল কমিটি এ কথা জানায়। খবর বিবিসির।
নারী ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াইয়ের কারণে ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান নার্গিস মোহাম্মদি। গত ডিসেম্বরে চিকিৎসাজনিত কারণে তাঁকে তেহরানের এভিন কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। তবে তাঁর আইনজীবীরা বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন, যেকোনো সময় তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি সরকারপন্থি এজেন্টরা পরোক্ষভাবে এবং তার আইনজীবীদের মাধ্যমে মোহাম্মদিকে হুমকি দিয়েছে। যদি তিনি ইরানের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিকভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রকাশ্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে তার নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে।
কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োরগেন ওয়াটনে ফ্রাইডন বলেন, এই হুমকি আমাদের আতঙ্কিত করেছে। আমরা কেবল নার্গিস মোহাম্মদিই নন, বরং ইরানে যেকোনো ভিন্নমতাবলম্বী নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন।
এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রসঙ্গত, ইরানে নারীদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই নার্গিস মোহাম্মদিকে মূলত নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার গ্রহণের সময় তিনি কারাগারে থাকায় সন্তানেরা তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ব ল প রস ক র ন র গ স ম হ ম মদ প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যায় ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে জসিম মিয়াকে (৪৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
ভারতীয় ভ্যাকসিন-বীজ বিক্রি করায় ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
শেরপুরে বালু উত্তোলন: ৯ জনকে কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জিনোদপুর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে পাট কাটা নিয়ে লিল মিয়ার (৭৫) সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার ছেলে জসিম উদ্দিনের। একপর্যায়ে ঘর থেকে কাঠ নিয়ে এসে বাবার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন জসিম উদ্দিন। এতে রক্তাক্ত হয়ে বৃদ্ধ লিল মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জসিম উদ্দিনকে দায়ী করে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। একই বছরের ২৭ আগস্ট একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় এবং ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০২/৩২৩ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও যুক্তি-তর্ক শেষে আজ আদালত জসিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন খান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হক রিটন বলেছেন, এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
ঢাকা/পলাশ/রফিক