হঠাৎ অতিরিক্ত ঘেমে যাচ্ছেন? দেখুন তো, এসব রোগের কারণে কি না
Published: 12th, July 2025 GMT
একই তাপমাত্রায় সবার শরীরে সমান ঘাম হয় না। যাঁদের ঘামগ্রন্থি বেশি সক্রিয়, তাঁদের বেশি ঘাম হয়। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘামতে থাকলে ও অস্বস্তিবোধ করলে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে। মাত্রাতিরিক্ত ঘাম অন্য রোগের লক্ষণও হতে পারে।
হাইপারহাইড্রোসিস: এ রোগে ঘামগ্রন্থি অত্যধিক কার্যকর থাকার ফলে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। হাত–পা অতিরিক্ত ঘামের জন্য যদি প্রাত্যহিক কাজ ব্যাহত হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু লোশন ও মুখে খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়।
থাইরোটক্সিকসিস: থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ বেড়ে গেলে এ রোগ হয়। অতিরিক্ত ঘামের পাশাপাশি বুক ধড়ফড় করা, ওজন কমে যাওয়া ও গলা ফুলে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। এমন উপসর্গ থাকলে শিগগিরই হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যাঁদের ঘামগ্রন্থি বেশি সক্রিয়, তাঁদের বেশি ঘাম হয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শরীরের বিশেষ স্থানে লুকিয়ে ইয়াবা পাচারের সময় টেকনাফে বিএনপি নেতা আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে শরীরের বিশেষ স্থানে লুকিয়ে দুই হাজার ইয়াবা পাচারের সময় বিএনপির এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। নূর মোহাম্মদ (৪৯) নামের ওই নেতা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আটক নূর মোহাম্মদ টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার মো. ইউছুফ আলীর ছেলে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া ৬৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। লে. কর্নেল জসীম উদ্দিন বলেন, আজ সন্ধ্যায় কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইমামের ডেইল এলাকার তল্লাশিচৌকিতে বিজিবির সদস্যরা নিয়মিত তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে টেকনাফ থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় গাড়িতে থাকা যাত্রী নূর মোহাম্মদের আচরণ বিজিবির সদস্যদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পায়ুপথে ইয়াবা থাকার তথ্য স্বীকার করেন। এরপর বিশেষ কৌশলে কালো রঙের দুটি প্যাকেট তাঁর শরীর থেকে বের করা হয়। প্যাকেট দুটি খুলে পাওয়া যায় দুই হাজার ইয়াবা বড়ি।
লে. কর্নেল জসীম উদ্দিন বলেন, টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রির জন্য কক্সবাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে আটক নূর মোহাম্মদ তথ্য দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাসান সিদ্দিকী বলেন, নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহমদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া তিনি ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তবে কমিটির এখনো অনুমোদন হয়নি। সংগঠনবিরোধী কাজ করার অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আটক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।