হঠাৎ অতিরিক্ত ঘেমে যাচ্ছেন? দেখুন তো, এসব রোগের কারণে কি না
Published: 12th, July 2025 GMT
একই তাপমাত্রায় সবার শরীরে সমান ঘাম হয় না। যাঁদের ঘামগ্রন্থি বেশি সক্রিয়, তাঁদের বেশি ঘাম হয়। তবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘামতে থাকলে ও অস্বস্তিবোধ করলে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে। মাত্রাতিরিক্ত ঘাম অন্য রোগের লক্ষণও হতে পারে।
হাইপারহাইড্রোসিস: এ রোগে ঘামগ্রন্থি অত্যধিক কার্যকর থাকার ফলে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। হাত–পা অতিরিক্ত ঘামের জন্য যদি প্রাত্যহিক কাজ ব্যাহত হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু লোশন ও মুখে খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়।
থাইরোটক্সিকসিস: থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ বেড়ে গেলে এ রোগ হয়। অতিরিক্ত ঘামের পাশাপাশি বুক ধড়ফড় করা, ওজন কমে যাওয়া ও গলা ফুলে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। এমন উপসর্গ থাকলে শিগগিরই হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যাঁদের ঘামগ্রন্থি বেশি সক্রিয়, তাঁদের বেশি ঘাম হয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ