কে নেবে এই নিষ্পাপ শিশুদের দায়িত্ব, প্রশ্ন বর্ষার
Published: 22nd, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশে শোকের ছায়া নেমেছে। নিহতদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর। এই নির্মম ট্র্যাজেডিতে শোবিজ অঙ্গনের অনেকে শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চিত্রনায়িকা বর্ষা নিজের সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে বাসায় ফিরে এমন ভয়ংকর দৃশ্য কল্পনা করেও শিউরে উঠেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “কে নেবে এই নিষ্পাপ শিশুদের দায়িত্ব এখন?”
বর্ষা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “পুরো বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে, যেখানে গরম নেই সেখানেই অনেক গরম। আবার ঠান্ডা যেখানে বেশি, সেখানে ঠান্ডা নেই। কিছুদিন পরপর দেখা যাচ্ছে, বিমান দুর্ঘটনার কারণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন এবং অনেকে অসুস্থ হচ্ছেন! ওই দুর্ঘটনাগুলো অন্যরকম কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের শিশু-বাচ্চাগুলোর যেভাবে মৃত্যু হয়েছে এ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।”
আরো পড়ুন:
সংসার ভাঙছে ‘কোই মিল গ্যায়া’ সিনেমার সেই টিনার?
বিমান দুর্ঘটনার ভিডিও দেখে পরীমণির প্যানিক অ্যাটাক
মা হিসেবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বর্ষা লিখেছেন, “জানি, মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না কার সময় কখন শেষ হবে। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। একটা মা হয়ে কীভাবে অন্য মায়ের এই কষ্ট সহ্য করি বলেন? বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে মোবাইলটা খুলে রাখি। আজকেও সকালে স্কুলে দিয়ে আসছি আরিজ আবরারকে। যতক্ষণ পর্যন্ত না বাসায় আসে, ততক্ষণ মায়ের মন কেমন থাকে তা মায়েরাই ভালো জানেন। হে আল্লাহ, আপনি সকল মায়ের মন হালকা করে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। আমিন।”
রাজধানীর মতো জনবহুল এলাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যাপারে বর্ষা লিখেছেন, “এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ দয়া করে শহরের বাইরে নিয়ে যাবেন, যে এলাকায় কোনো মানুষ নেই শুধু ক্ষেত আর পানি থাকবে। ঢাকা শহরে কীভাবে এ ধরনের প্রশিক্ষণ করা হচ্ছে চিন্তা করা যায়? কে নেবে এই নিষ্পাপ শিশুদের দায়িত্ব এখন? যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন? চোখ বন্ধ নয় খোলা রাখুন। আল্লাহ সবাইকে সুস্থতা দান করুন। আমিন।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আল ল হ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল