ফরিদপুরের সদরপুরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চাপায় আব্দুল্লাহ মল্লিক (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজার এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয় সে। 

মারা যাওয়া আব্দুল্লাহ ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের বিলভড়া গ্রামের মাসুদ মল্লিকের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে মজুমদার বাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো। আব্দুল্লাহ স্থানীয় মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া নূরানী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আরো পড়ুন:

বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৭ জন একই পরিবারের

গাজীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকালে মাদরাসায় যেতে বাড়ি থেকে বের হয় আব্দুল্লাহ। কৃষ্ণপুর-সদরপুর সড়কে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আব্দুল্লাহকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক ডা.

সৌরভ চক্রবর্তী শিশু আব্দুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদরপুর থানার ওসি শুকদেব রায় জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। 

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন সদরপ র

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ