এখন নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি—গণতন্ত্র চাই কিন্তু নির্বাচন চাওয়া যাবে না। এখন নির্বাচনকে ঠেকিয়ে দেওয়ার বা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার একটা চেষ্টা আছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেশ যদি গোল্লায়ও যায়, কিছু মানুষের লাভ আছে। কিন্তু আপনি যখন সামনে নির্বাচন দেখবেন না, তখন আপনার চরিত্র নষ্ট হবে।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে জাহেদ উর রহমান এ কথা বলেন। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: এক বছরের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই গোলটেবিলের আয়োজন করে প্রথম আলো। গোলটেবিল আলোচনার শুরুতে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক জানানো হয়। সবাই এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে উল্লেখ করে জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘এই প্রশ্নটা ভুলও নয়। আমি মনে করি, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধা দেওয়ার জন্য দেশের অভ্যন্তরে, বাইরে এবং বেশ কিছু শক্তি চায় যে আমরা একটা মোটামুটি নৈরাজ্যকর অবস্থায় যাই। আমাদের এখন নির্বাচন ছাড়া আসলে আর কোনো উপায় নেই। এই জিনিসটা আমাদের প্রতিটি জায়গা থেকে বলতে হবে।’

নির্বাচনকে খাটো করার প্রবণতা আছে বলে মন্তব্য করেন জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, ‘আই অ্যাম স্যরি, নির্বাচন এত ছোট বিষয় নয়। যথেষ্ট এম্পিরিকাল (প্রায়োগিক) প্রমাণ আছে যে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যদি একটার পর একটা হতে থাকে, তাহলে দেশের পরিবর্তন হতে বাধ্য হয়।.

..আপনি যখন সামনে নির্বাচন দেখবেন না, তখন আপনার চরিত্র নষ্ট হবে। ফলে সামনে একটা অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখাটা জরুরি।’

‘কিছু কিছু রাজনৈতিক দল হয়তো নির্বাচনে জিতবে না, কিন্তু সে এখন নানা রকম ক্ষমতা চর্চা করতে পারছে; বিভিন্ন নিয়োগ-পদায়ন, বদলি, বিভিন্ন রকম টেন্ডারে অনেকে তদবির করতে পারছে। ফলে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা থাকবে এবং মূল চেষ্টা হবে নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে।’জাহেদ উর রহমান, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

গতকাল সচিবালয়ের ফটক ভেঙে শিক্ষার্থীদের ঢুকে পড়া, উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের আটকে পড়ার কথাও উল্লেখ করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘সবকিছু যদি আমরা যোগ করি, আমরা আসলে ভালো অবস্থায় নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আসলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।...এখন নির্বাচনকে ঠেকিয়ে দেওয়ার বা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার একটা চেষ্টা আছে। নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশ যদি গোল্লায়ও যায়, কিছু মানুষের লাভ আছে।’

এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু রাজনৈতিক দল হয়তো নির্বাচনে জিতবে না, কিন্তু সে এখন নানা রকম ক্ষমতা চর্চা করতে পারছে; বিভিন্ন নিয়োগ-পদায়ন, বদলি, বিভিন্ন রকম টেন্ডারে অনেকে তদবির করতে পারছে। ফলে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা থাকবে এবং মূল চেষ্টা হবে নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে।’

‘হাতুড়ির বাড়ি দিয়ে দেশ ঠিক করা যায় না’

চলমান সংস্কার কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমি সংস্কার নিয়ে খুব বেশি হতাশ হই। বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ পৃথক্‌করণের বিষয়ে অন্তত আমরা আইনগতভাবে একমত পোষণ করছি। বিএনপির মতো দলও এর সঙ্গে একমত। আমার কাছে অনেক বড় মনে হয়, একটা সরকারের হাত থেকে যদি নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করার আইনগত ক্ষমতা কমে যায়, এটা খুব ছোট ব্যাপার নয়। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে যে ধরনের ঐকমত্য মোটাদাগে হয়েছে, এগুলো খুব খারাপ নয়।’

বাংলাদেশ এখন একটা অ্যাকিউট ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে (গভীর জরুরি অবস্থা) আছে বলে মন্তব্য করেন এই লেখক। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হওয়া আমাদের রোগীর জীবন বাঁচা। এরপর কারণগুলো খুঁজে ক্রমাগত চিকিৎসা করে যেতে হবে এবং একটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা লাগবে। শেখ হাসিনা যে সংকট তৈরি করে গেছে, এগুলো থেকে প্রতিকারের সংক্ষিপ্ত কোনো উপায় নেই। আমরা অনেকে মনে করেছি যে কামারের হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিয়ে বাংলাদেশকে ঠিক করে ফেলব। এগুলো কাজ করে না। আমাদের সময় লাগবে।’

‘অনেকে খোয়াব দেখছেন’

আলোচনায় জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী কিছু প্রবণতার বিষয়েও কথা বলেন জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই আনস্ট্রাকচার্ড ও আনঅর্গানাইজড (কাঠামোহীন ও অসংগঠিত) একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং সফল হয়েছি। এরপর যতটুকু আমরা পেতে পারতাম, সেটা আমরা মিস করেছি। এরপর আমাদের অনেকের অনেক রকম ইচ্ছে হয়েছে। আমি সব ইচ্ছাকে খারাপ বলছি না, ভালো বলছি। কিন্তু আমরা মনে করলাম একটা সুযোগ পাওয়া গেল, এই সুযোগে আমি আমার নিজস্ব কিছু চিন্তা ও এজেন্ডা পূরণ করব। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে একটা সমাজের ক্ষমতাকাঠামো এভাবে কাজ করে না।’

জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমি যদি বলি সংবিধান স্থগিত করে দিয়ে এভাবে সরকার করব, এখানকার সবচেয়ে বড় ক্ষমতাবান রাজনৈতিক শক্তিকে উপেক্ষা করে আমি এটা করতে পারি না। সে বিভিন্নভাবে রেজিস্ট (প্রতিরোধ) করবেই।...আমি মনে করলাম যে সব স্থগিত করে দেব, আমি এ রকম একটা সরকার করব—এটা করতে গিয়ে আমি ভীতি তৈরি করেছি অনেকের মধ্যে। তখন সে প্রবল পরাক্রমে সে অনেক ডুয়েবল (করার মতো) কাজে রেজিস্ট (প্রতিরোধ) করেছে। কারণ, এটা তখন ক্ষমতার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ও তো আমাকে এলিমিনেট (নির্মূল) করতে চায়, আমাকে আইসোলেট (বিচ্ছিন্ন) করতে চায়, আমাকে এক্সক্লুড (বাদ দেওয়া) করতে চায়; ও তো ক্ষমতা নিয়ে নিতে চায়।’

জুলাই অভ্যুত্থানে কোনো সংগঠিত শক্তি ছিল না উল্লেখ করে এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘আমরা মনে করছি এটা একটা বিপ্লব, একটা বিপ্লবী সরকার হতে পারে এবং আমরা শিক্ষার্থীদের অনেকটা রেড গার্ডের মতো ব্যবহার করার চিন্তা করছি বা এখনো অনেকে সেই খোয়াব দেখছি। এগুলোর ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’

প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের সঞ্চালনায় এই গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন, লেখক ও গবেষক মাহা মীর্জা, তরুণ গবেষক সহুল আহমদ প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চনক র জন ত ক আম দ র ক ষমত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্প কেন ভারতের ওপর এমন চাপ দিচ্ছেন, কী বলছেন রাজনৈতিক নেতারা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর বিরোধী দল কংগ্রেস বিজেপি সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছে। কংগ্রেস পার্টির এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, এখন দেশকে মোদির ‘বন্ধুত্বের মূল্য’ দিতে হচ্ছে।

কংগ্রেস ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে টেক্সাসে অনুষ্ঠিত ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পক্ষে মোদির প্রচার চালানোকে আজকের পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে।

কংগ্রেস বলেছে, ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন। এর সঙ্গে দণ্ড জরিমানাও দিয়েছেন। এখন দেশ মোদির বন্ধুত্বের খেসারত দিচ্ছে। মোদি ট্রাম্পের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প ভারতকে শাস্তি দিলেন। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের পাশাপাশি ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও অস্ত্র কেনার কারণে ভারতকে অতিরিক্ত জরিমানাও দিতে হবে।

ট্রাম্প আরও বলেন, ভারত ও চীন রাশিয়ার যুদ্ধ খরচ বহন করছে। সেই যুদ্ধ এরই মধ্যে তিন বছর ধরে চলছে। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, আবার প্রেসিডেন্ট হলে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি যুদ্ধ শেষ করে দেবেন।

ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ভারত সব সময় রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র কিনেছে এবং রাশিয়ার জ্বালানির সবচেয়ে বড় ক্রেতা। এমন এক সময়ে তারা এই কাজ করেছে, যখন সবাই চাইছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক। তাই আগামী ১ আগস্ট থেকে ভারতকে ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ও অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে।

কংগ্রেস–দলীয় সংসদ সদস্য মাল্লু রবি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকিতে আমরা উদ্বিগ্ন। শুনে মনে হচ্ছে, তিনি যেন ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের উচিত উপযুক্ত জবাব দেওয়া।’

কংগ্রেসের আরেক নেতা রাজীব শুক্লা এই পদক্ষেপকে ‘একেবারে ভুল’ বলে অভিহিত করে বলেন, ‘সরকার যাঁকে বন্ধু মনে করত, সেই ট্রাম্প এখন আমাদের আঘাত করেছেন। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমরা সংসদে এ বিষয়ে কথা বলব। এত বন্ধুত্বের পরও ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে এমন করলেন কেন?’

আম আদমি পার্টির (এএপি) সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিদিন ভারতের অপমান করছেন। ট্রাম্প তো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলকে পর্যন্ত ভারত থেকে আইফোন তৈরি না করতে হুমকি দিয়েছেন। এমনকি তিনি বলেছেন, তিনি পাকিস্তানকে ভালোবাসেন। এটি নিয়ে ভারতের ভাবা উচিত। মোদির উচিত, এ বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানো এবং তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করা।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, ট্রাম্প প্রায়ই তাঁর বক্তব্য থেকে পেছনে সরে আসেন। তাই ভারতের সরকার কী বলে, তা না জানা পর্যন্ত অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিজেপি–দলীয় আরেক সংসদ সদস্য প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন, ‘এটি দুঃখজনক। আমি নিশ্চিত, ভারত সরকার এর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। ব্যবসা ও শিল্প খাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’

বিজেপির হেমাং যোশি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট একতরফা বিবৃতি দিতে থাকেন। ভারতের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু না বলা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা উচিত। আগেও তিনি এক কথা বলেছিলেন, পরে আবার নিজেই তা বদলে ফেলেছিলেন।’

বিজেপির আরেক সংসদ সদস্য প্রতাপ সারাঙ্গি বলেন, ‘ভারত শক্তিশালী পাল্টা কৌশল তৈরি করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, মোদির নেতৃত্বে আমেরিকার এই পদক্ষেপ সফল হতে দেওয়া হবে না। আমরা উপযুক্ত জবাব দেব।’

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের ওপরই পাল্টা শুল্ক বসিয়েছেন। তাঁর দাবি, এসব দেশ আগে থেকেই মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক বসিয়ে আসছিল।

আরও পড়ুনভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আলাদা ‘দণ্ড’১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনজাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি১৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ