যে ৭ কারণে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘুমাতেই হবে
Published: 24th, July 2025 GMT
১. উচ্চ রক্তচাপ কমে
প্রিয় মানুষের সান্নিধ্যে ঘুমানোর ফলে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২. প্রদাহ কমেমানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ভয় ইত্যাদির ফলে আমাদের শরীরে কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। তবে আপনি যখন ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘুমান, তখন নিরাপদ বোধ করেন। কর্টিসলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে
ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘুমালে সহজে ফ্লু বা সিজনাল জ্বরে আক্রান্ত হবেন না। এতে ঠান্ডা-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
৪. ভালো ঘুম হয়প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে মানসিক চাপ কমে, মন শান্ত থাকে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া সহজ হয়। ঘুম হয় গভীর।
আরও পড়ুনকখন কোন বাদাম খাবেন, বিশ্বের শীর্ষ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের পরামর্শ২২ ঘণ্টা আগে৫. আরইএম স্লিপিংর্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম স্লিপিংয়ের ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভালো থাকে। সৃজনশীল কাজ করা বা নতুন কিছু শিখতে সুবিধা হয়, স্মৃতিশক্তি হয় উন্নত। একাধিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘুমালে আরইএম বেশি হয়। ফলে আপনি বৈচিত্র্যময় স্বপ্নও দেখেন।
৬. তারুণ্য ধরে রাখা সহজ হয়ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঘুমানোর ফলে আপনার শরীর ও মনে যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, তা সার্বিকভাবে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ‘অ্যান্টি-এজিং’ প্রক্রিয়াকে করে ত্বরান্বিত।
৭. সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় হয়সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য তাঁর সঙ্গে ঘুমানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিকভাবে লম্বা সময় কাছাকাছি থাকার ফলে ভালোবাসার অনুভূতি, সম্পর্কের গভীরতা ও যোগাযোগ সুদৃঢ় হয়।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড
পূর্বাচলের সুমু মার্কেটে কী পাওয়া যায়, জিনিসপত্রের মান ও দাম কেমন এই ৫ কারণে দাম্পত্যে ‘পিলো টক’ জরুরিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ