মাইলফলকের সামনে রিশাদ, সাকিবকে কি পেছনে ফেলতে পারবেন
Published: 24th, July 2025 GMT
বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর অভিষেক হয়েছে দুই বছরের একটু বেশি। ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক রিশাদ হোসেনের। এ দুই বছরে দলের অন্যতম সেরা বোলারে পরিণত হয়েছেন এই লেগ স্পিনার। আজ মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাইলফলকও হাতছানি দিয়ে ডাকছে রিশাদকে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রিশাদের উইকেট ৪৮টি। আজ ২ উইকেট পেলে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বোলার ও প্রথম লেগ স্পিনার হিসেবে ৫০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখাবেন রিশাদ। এখনো টেস্ট অভিষেক হয়নি তাঁর। ওয়ানডে দলেও নিয়মিত নন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হওয়ার পর রিশাদ এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট (৩১) ও লিস্ট এ ক্রিকেটেও (৪৭) রিশাদের ৫০ উইকেট নেই।
রিশাদ আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ৪৮ উইকেট নিয়েছেন ৪০ ম্যাচে। আজ ২ উইকেট নিতে পারলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে টি–টোয়েন্টিতে ৫০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকবেন রিশাদ। পেছনে ফেলবেন সাকিব আল হাসানকে।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড বতসোয়ানার লেগ স্পিনার ধ্রুবকুমার মাইসুরিয়ার।সাকিব ৪২ ম্যাচে নিয়েছেন ৫০ উইকেট। দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে মোস্তাফিজের ধারেকাছে বাংলাদেশের কেউ নেই। মাত্র ৩৩ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। সাকিব, মোস্তাফিজ ছাড়া টি–টোয়েন্টি বাংলাদেশের হয়ে ৫০ উইকেট আছে তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ও শরীফুল ইসলামের।
আরও পড়ুন‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এখনো খুব ভালো’—দাবি বিসিবি সভাপতির৪৪ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড বতসোয়ানার লেগ স্পিনার ধ্রুবকুমার মাইসুরিয়ার। মাত্র ২২ ম্যাচেই ৫০ উইকেট নেন। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস দ্রুততম ৫০ উইকেট নেন, ২৬ ম্যাচে।
টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বশেষ ৩ ম্যাচে রিশাদ প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১টি।
টি–টোয়েন্টিতে রিশাদের উইকেট ৪৮টি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।
সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।
পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।
বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।
এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)