চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
Published: 25th, July 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শিংনগর সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোররাতে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। তবে, বিষয়টি জানাজানি হয় আজ। শুক্রবার বিকেলে বিজিবির পক্ষ থেকে শুধু সেলিম আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া-পন্ডিতপাড়ার আরিফুল ইসলাম হানিফের ছেলে মো.
আরো পড়ুন:
ছয় বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পন্ডিতপাড়ার বাসিন্দা আব্দুলাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েকজন চোরাকারবারি ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দৌলতপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় সঙ্গে থাকা সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুই জনকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এখন তারা আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু বলেন, ‘‘শিংনগর সীমান্তের বিষয়ে জানতে বিএসএফ দৌলতপুর ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা (বিএসএফ) সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করার বিষয়টি স্বীকার করলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি বলে জানায়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে আহতদের বাড়ি গিয়ে জানার চেষ্টা করা হলে পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাননি। তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।’’
ঢাকা/শিয়াম/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।