চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শিংনগর সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোররাতে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। তবে, বিষয়টি জানাজানি হয় আজ। শুক্রবার বিকেলে বিজিবির পক্ষ থেকে শুধু সেলিম আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া-পন্ডিতপাড়ার আরিফুল ইসলাম হানিফের ছেলে মো.

সেলিম (২৫) এবং তারাপুর-মুন্নাপাড়ার সুলতান আলীর ছেলে মো. সুমন (২৮)।

আরো পড়ুন:

ছয় বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

পন্ডিতপাড়ার বাসিন্দা আব্দুলাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েকজন চোরাকারবারি ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দৌলতপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় সঙ্গে থাকা সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুই জনকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এখন তারা আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু বলেন, ‘‘শিংনগর সীমান্তের বিষয়ে জানতে বিএসএফ দৌলতপুর ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা (বিএসএফ) সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করার বিষয়টি স্বীকার করলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি বলে জানায়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে আহতদের বাড়ি গিয়ে জানার চেষ্টা করা হলে পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাননি। তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।’’

ঢাকা/শিয়াম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক