সোনারগাঁয়ের মঙ্গলের গাঁও বটতলা এলাকায় কালভার্ট ব্রীজ নির্মাণে ধীরগতিতে এপ্রোচ সড়কে পানি উঠে ভোগান্তিতে চলাচল করছে ২০গ্রামের সাধারণ মানুষ।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে হোসেনপুর সড়কে পুরাতন ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলে সড়ক বন্ধ করায় বিকল্প এপ্রোচ সড়ক নিচু করে নির্মাণের ফলে এ ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।

এ সড়কে চলতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যটারি চালিত রিক্সা উল্টে গত এক মাসে প্রায় অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এপ্রোচ সড়কটি উচু করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানিয়েছের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো.

আলমগীর চৌধুরী। 

জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া থেকে হোসেনপুর বাজার সড়কের মঙ্গলেরগাঁও বটতলা এলাকায় ২ কোটি ১৮ লক্ষ ১ হাজার ৭শ ৭২ টাকা ব্যয়ে মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়।

কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০২৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। চলতি বছরের ৩১ আগষ্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতির কারনে প্রায় ৬০ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেননি। 

তবে কালভার্ট নির্মাণ করতে গিয়ে জন সাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে বিকল্প এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ এপ্রোচ সড়কটি নিচু করে নির্মাণ করায় বর্তমানে পানির নিচে তলিয়ে যায়। তবে বৃষ্টি হলে হাটু পানিতে তলিয়ে থাকে সড়কটি।

ফলে ওই এলাকার মঙ্গলেরগাঁও, দুধঘাটা, পাঁচআনি, চরগোয়ালদী, দূর্গা প্রসাদ, চৌধুরী গাঁও, কাজিরগাঁও, তাতুয়াকান্দি, এলাহী নগর, রামগোবিন্দেরগাঁও, হোসেনপুর, একরামপুর, দড়িগাঁও, মনারকান্দি, ফরদি ও ফতেপুরসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত এক মাসে এ সড়কে চলতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যটারি চালিত রিক্সা উল্টে অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ ও শিক্ষার্থী আহত হন। 

তাতুয়াকান্দি গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকল্প এপ্রোচ সড়কটি নিচু করে নির্মাণ করায় বেশিরভাগ সময়েই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। পাশাপাশি সড়কে খানাখন্দ হয়ে গাড়ি উল্টে মানুষ আহত হচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। 

দুধঘাটা গ্রামের আশরাফুল আলম জানান, সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারনে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন গাড়ি উল্টে মানুষ আহত হচ্ছেন। দ্রুত সড়কটি উচু করে নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

সোনারগাঁ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সানিকা আক্তার জানান, তিনি অটোরিক্সা উল্টো আহত হয়েছেন। এ সড়কে চলাচল করতে গেলে তিনি এখনো ভয়ে আঁতকে উঠেন। 

চৌধুরীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, কালভার্ট নির্মাণের পাশাপাশি এপ্রোচ সড়কটি সংস্কার হওয়া জরুরি। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী তমাল ঘোষ জানান, কিছু জটিলতার কারনে কাজ শেষে করতে পারেননি। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার কারনে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাস্তা উচু করতে হলে তিনি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।  

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী জানান, নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এপ্রোচ সড়কটি উচু করার জন্য ইতোমধ্যে ভেকু নেওয়া হয়েছে। তিনিও ভূক্তভোগী বলে জানিয়েছেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ন র ম ণ কর প রক শ র ক রন স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের

চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।

মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’

বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।

উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।

এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ