‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বাজেট বৈষম্য ইস্যুতে চলমান আন্দোলনে নিজেদের মধ্যে বিভাজনে জড়িয়েছেন সমন্বয়কারীরা। তাদের কথা কাটাকাটির ভিডিও ধারণ করতে গেলে সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া অভিযোগ ওঠে।

‎মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণকে অনেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

ভুক্তভোগী দৈনিক সংবাদ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবু সাঈদ বলেন, “আজ বেরোবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ছিল। সময়মতো আমি উপস্থিত হয়ে দেখি, চত্বরে কেউ নেই। মূল ফটকের দিকে এগিয়ে গেলে কয়েকজন সমন্বয়ককে প্রস্তুতি নিতে দেখি। হঠাৎ দেখি সমন্বয়ক সোহাগ ও জয় নিজেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। আমি তার ভিডিও ধারণ করতেই সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন। পরে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় মোবাইল ফেরত পেয়েছি।”

আরো পড়ুন:

ছিনতাই: মোহাম্মদপুর থানার ৪ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

ভোটের দিন সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা জারি ইসির

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী আলবীর বলেন, “নেতাদের দ্বন্দ্বে আন্দোলন কার্যত ভণ্ডুল হয়ে যায়। আমরা আন্দোলনের জন্য জড়ো হলেও তারা নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনার ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আবু সাঈদ। তখনই সোহাগ মোবাইল কেড়ে নেন।”

‎ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, “আমি ফোন কেড়ে নিয়ে কোনো ভুল করিনি। তবে সরি বলেছি, কারণ তখন মাথা গরম ছিল। আবু সাঈদকে বলেছি, ‘বন্ধু, সিচুয়েশনটা বুঝতে পারছ? ভিডিও বন্ধ করার জন্যই ফোন নিয়েছি।’”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড.

মো ফেরদৌস রহমান বলেন, “সাংবাদিকরা এর আগেও ফ্যাসিস্টদের আক্রমণের শিকার হন। আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা যদি আবারো এ রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়, তাহলে এটা মেনে নেওয়ার মতো না। ছাত্রলীগের নামধারী কিছুই সমন্বয়ক আবার এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।”

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমন বয়ক ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে আল হাবিব নামে ৬ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আল হাবিব একই ইউনিয়নের শিলাইকুঠি এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে। 

আশরাফুল ইসলাম ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় এখন ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি আল হাবিব। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজা-খুঁজির পর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেটে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করে। 

পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি ভাঙা টয়লেটের ছড়ানো ইটের ওপর পড়ে ছিল। গলায় নিজের পরনের শার্ট পেঁচানো ছিল। মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্নও আছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর তাকে এখানে ফেলে গেছে ঘাতকরা। তবে কারা এবং কেন হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেন বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে পরিত্যক্ত ভবনে বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ও গ্রাম পুলিশ আমাদেরকে খবর দেয়। তারপর আমরা পুলিশকে খবর দিই। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া বলেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে৷ 

ঢাকা/নাঈম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ