কিলিয়ান এমবাপ্পে না আরদা গুলের—জার্সিটি উঠবে কার গায়ে? এ প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকেরা। কাল রাতে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডলে তা জানিয়ে দিয়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। ড্রেসিংরুমে ঝুলিয়ে রাখা রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সির একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সাদা রঙের সে জার্সিতে লেখা নামটা—এমবাপ্পে। গুলের এই পোস্টে ‘লাইক’ দিয়েছেন।

রিয়ালের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে আরও একটি ছবি পোস্ট করা হয় গতকাল রাতে, যে ছবি প্রায় একই সময়ে এমবাপ্পেও পোস্ট করেন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে। ক্লাবের ১০ নম্বর জার্সি পরে হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে এমবাপ্পে—ফরাসি তারকার এই পোস্টে আগুনের ইমো দিয়ে মন্তব্য করেন লুকা মদরিচ। ক্রোয়াট কিংবদন্তির বিশ্বাস, রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে এমবাপ্পে আগুনের মতোই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন। সাত মৌসুম ধরে রিয়ালের এই জার্সি শোভা পেয়েছে মদরিচের গায়ে। ক্লাব বিশ্বকাপ শেষে ঠিকানা পাল্টে তিনি এসি মিলানে নাম লেখানোয় ২০১৭ সালের পর এবারই প্রথম ফাঁকা পড়েছিল রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সি।

আরও পড়ুনউরুগুয়েকে উড়িয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল, টানা পঞ্চম শিরোপা জয়ের অপেক্ষা১ ঘণ্টা আগে

মদরিচের ঠিকানা পাল্টানোর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁর কাছ থেকে ১০ নম্বর জার্সিটি পাবেন কে? উত্তরটা এখন জানিয়ে দিল রিয়াল। ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে রিয়ালের নতুন ১০ নম্বর হবে এমবাপ্পের। ৯ নম্বর জার্সি ছেড়ে এখন তিনি ১০ নম্বর।  জার্সির সঙ্গে এমবাপ্পের ব্যক্তিগত আবেগও জড়িয়ে আছে। নিজের জীবন নিয়ে তিনি যে কমিক বই বের করেছেন, সেখানে একটি দৃশ্যে দেখা যায়, খুব অল্প বয়সী এমবাপ্পে বড়দিনের উপহার হিসেবে রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সি পেয়েছেন।

রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সি যে পাচ্ছেন, তা সপ্তাহখানেক আগে নিজের এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। কাল রিয়ালের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এটাই নিশ্চিত করা হলো। ক্লাবের ওয়েবসাইটেও এমবাপ্পের জার্সি নম্বর হালনাগাদ করা হয়েছে। আজ এমবাপ্পের ১০ নম্বর জার্সি বিক্রি শুরু করবে রিয়াল।

গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৯ ম্যাচে ৪৪ গোল করে পিচিচি ও গোল্ডেন শু পুরস্কারও জেতেন এমবাপ্পে। নতুন মৌসুম শুরুর আগে এবং মদরিচ চলে যাওয়ার কারণে ১০ নম্বর জার্সিটিও ফাঁকা হয়ে পড়ায় এমবাপ্পের হাতে সেটা তুলে দিয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করল রিয়াল।

আরও পড়ুন২৫ বছর পর রিয়ালে ব্যালন ডি’অরজয়ী কেউ রইলেন না২৯ জুলাই ২০২৫

ফ্রান্স জাতীয় দলের ১০ নম্বর জার্সিটিও বহু বছর ধরে এমবাপ্পের। পিএসজিতে পরতেন ৭ নম্বর জার্সি। এমবাপ্পে ৯ নম্বর জার্সি ছেড়ে দেওয়ায় এখন সেটা ফাঁকা হয়ে পড়ল। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, রিয়ালের ৯ নম্বর জার্সি পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে তিনজন—ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো, গঞ্জালো গার্সিয়া ও এনদ্রিক।

রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সির একটা আলাদা ওজন আছে। ক্লাবটির কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের গায়ে এই জার্সি উঠেছে। রেমন্ড কোপা, ফেরেঙ্ক পুসকাস, গিওর্গি হ্যাজি, মাইকেল লাউড্রপ, লুইস ফিগো, ক্ল্যারেন্স সিডর্ফ, মেসুত ওজিলরা এই জার্সি পরে মাঠ মাতিয়েছেন।

ক্লাব ফুটবলে সর্বশেষ এএস মোনাকোয় ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন এমবাপ্পে। পিএসজিতে নিজের প্রথম মৌসুমে খেলেছেন ২৯ নম্বর জার্সি পরে। এরপর ১৭ ও ৭ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন। এমবাপ্পের আগে সর্বশেষ ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সি পরেছেন সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার লাসানা দিয়ারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন এমব প প এমব প প র মদর চ

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ