বন্দরে নব্য যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠু  অনৈতিক কর্মকান্ডে চরম ভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন জনগন। মহানগর যুবদলে কতিপয় নেতার ছত্র ছায়ায় বন্দরে বিভিন্ন স্থানে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে  বিতর্কিত হয়ে পরেছে মিনহাজ মিঠু। তাকে থামানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছে বন্দরে সচেতন মহল।

এর ধারাবাহিকতা বন্দরে বিদেশ  পাঠানোকে কেন্দ্র করে হোসিয়ারী ব্যবসায়ী কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ আরো চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হোসিয়ারী ব্যবসায়ী মাসুম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে প্রতারক আদম ব্যবসায়ী ইয়াসিন ও নব্য যুবদল নেতা মিনহাজ মিঠুকে আসামী করে বন্দর থানায় আবারো একটি লিখিত  অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বাদী মাসুম উল্লেখ করেন,আমি একজন হোসিয়ারী ব্যবসায়ী।  গত ১ বছর পূর্বে আমাকে বৈধ ভিসায় বিদেশে পাঠানোর নাম আদম ব্যবসায়ী ইয়াসিন আমার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর আমাকে বিদেশ পাঠাতে  ব্যর্থ হয়। পরে আমি বিবাদী ইয়াসিনের কাছে আমার পাওনা ৬ লক্ষ টাকা দাবী করি।

তখন বিবাদী ইয়াসিন আমাকে নগদ ১ লক্ষ টাকা এবং তার ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ লক্ষ টাকা প্রদান করে আত্মগোপনে চলে যায়। ২নং বিবাদী মিনহাজ মিঠু ১নং বিবাদী ইয়াসিনের প্রদানকৃত উক্ত টাকার কথা জানতে পেরে গত ১ মাস পূর্বে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার কাছে অবৈধ বলপূর্বক করে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে।

২নং বিবাদী আইন অমান্যকারী খারাপ প্রকৃতির লোক হবার কারণে আমি আমার জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিবাদীর দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা হতে নগদ ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করি এবং বাকী ১৫ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ২৮ জুলাই তারিখ রাত অনুমান ৯.

৩০ ঘটিকার সময় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে বন্দর থানাধীন বন্দর রেললাইন পাকা রাস্তার উপর পৌছালে ২নং বিবাদী মিনহাজ সহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বেআইনি জনতাবদ্ধে অবৈধ বলপূর্বক করে আমার পথ আটকে আমার কাছে বাকী ১৫ হাজার টাকা দাবী করে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

২নং বিবাদীসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদীরা আমাকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উক্ত ১৫,০০০/- (পনেরো হাজার) টাকা বন্দর বাজার সংলগ্ন ২নং বিবাদীদের রাজনৈতিক অফিসে দিয়ে আসতে বলে। অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা

আমাকে এই বলে হুমকি প্রদান করে যে, এ বিষয়ে যদি আমি কাউকে কিছু জানাই তাহলে পরবর্তীতে আমার বড় সমস্যা হবে। বিবাদীদের এহেন হুমকিতে আমি আমার জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ লক ষ ট ক ব যবস য় য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

আরো পড়ুন:

৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া

মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়

প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।

বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।

তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।

বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।

তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ