জুনিয়র এনটিআর কত কোটি টাকার মালিক?
Published: 2nd, August 2025 GMT
তেলেগু সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর। তার পরিবার দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক প্রভাবশালী। এ অভিনেতার বাবা নান্দামুরি হরিকৃষ্ণ ও দাদা এনটি রামা রাও একাধারে দাপুটে অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাদের পথ অনুসরণ করে রুপালি জগতে পা রাখেন জুনিয়র এনটিআর।
বাবা-দাদার মতো মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেই ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন এই তারকা। পরবর্তীতে ‘টেম্পার’, ‘সাম্বা’, ‘জনতা গ্যারেজ’, ‘ট্রিপল আর’-এর মতো সিনেমা উপহার দেন। জুনিয়র এনটিআর কত টাকার মালিক তা কী জানেন?
আইডিভার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনিয়র এনটিআরের হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে একটি প্রাসাদসম বাড়ি রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি রুপি। একটি ব্যক্তিগত জেট বিমানের মালিক তিনি। যার দাম ৮০ কোটি রুপি। তাছাড়াও জুনিয়র এনটিআরের গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি।
আরো পড়ুন:
নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়
বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর
১.
২. একটি বিএমডব্লিউ।
৩. একটি রেঞ্জ রোভার (মূল্য ২ কোটি রুপি)।
৪. একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ (মূল্য ১ কোটি রুপি)।
৫. একটি পোরশে (মূল্য ১ কোটি রুপি)
জুনিয়র এনটিআর বিলাসবহুল ঘড়ি পরতে ভালোবাসেন। তার সংগ্রহে বেশ কটি ব্যয়বহুল ঘড়ি রয়েছে।
১. একটি পাটেক ফিলিপ নটিলাস ৪০ এমএম মডেলের ঘড়ি (মূল্য আড়াই কোটি রুপি)।
২. একটি রিচার্ড মিলে ঘড়ি (মূল্য ৪ কোটি রুপি)।
জুনিয়র এনটিআরের মোট সম্পত্তি
নিউজ২৪ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে—২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, জুনিয়র এনটিআরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)। সিনেমায় অভিনয়, ব্র্যান্ড প্রোমোশন এবং ব্যবসা থেকে এই অর্থ আয় করেছেন তিনি। প্রতি সিনেমার জন্য ৪৫-৮০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন বলে জানা গেছে।
জুনিয়র এনটিআরের একটি প্রযোজনা সংস্থা আছে, যার নাম নান্দামুরি তারকা রামারাও আর্টস। তেলুগু টাইটানস নামে একটি কাবাডি দলের মালিক এই অভিনেতা। তাছাড়া শমশাবাদে একটি ফিল্ম স্টুডিওতেও বিনিয়োগ করেছেন জুনিয়র এনটিআর।
জুনিয়র এনটিআর ব্যক্তিগত জীবনে প্রণতির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। তবে তিনি শোবিজ অঙ্গনের কেউ নন। তবে খুব প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে প্রণতি। ২০১১ সালে পারিবারিক আয়োজনে মালাবদল করেন তারা। এসময় জুনিয়র এনটিআরের বয়স ছিল ২৬ বছর আর প্রণতির ১৮। এ সংসারে তাদের দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।