তেলেগু সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা জুনিয়র এনটিআর। তার পরিবার দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক প্রভাবশালী। এ অভিনেতার বাবা নান্দামুরি হরিকৃষ্ণ ও দাদা এনটি রামা রাও একাধারে দাপুটে অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাদের পথ অনুসরণ করে রুপালি জগতে পা রাখেন জুনিয়র এনটিআর। 

বাবা-দাদার মতো মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেই ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন এই তারকা। পরবর্তীতে ‘টেম্পার’, ‘সাম্বা’, ‘জনতা গ্যারেজ’, ‘ট্রিপল আর’-এর মতো সিনেমা উপহার দেন। জুনিয়র এনটিআর কত টাকার মালিক তা কী জানেন? 

আইডিভার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনিয়র এনটিআরের হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে একটি প্রাসাদসম বাড়ি রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি রুপি। একটি ব্যক্তিগত জেট বিমানের মালিক তিনি। যার দাম ৮০ কোটি রুপি। তাছাড়াও জুনিয়র এনটিআরের গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি।

আরো পড়ুন:

নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়

বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর

১.

একটি ল্যাম্বোরগিনি উরুস (মূল্য ৫ কোটি রুপি)।
২. একটি বিএমডব্লিউ।
৩. একটি রেঞ্জ রোভার (মূল্য ২ কোটি রুপি)।
৪. একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ (মূল্য ১ কোটি রুপি)।
৫. একটি পোরশে (মূল্য ১ কোটি রুপি)

জুনিয়র এনটিআর বিলাসবহুল ঘড়ি পরতে ভালোবাসেন। তার সংগ্রহে বেশ কটি ব্যয়বহুল ঘড়ি রয়েছে। 
১. একটি পাটেক ফিলিপ নটিলাস ৪০ এমএম মডেলের ঘড়ি (মূল্য আড়াই কোটি রুপি)।
২. একটি রিচার্ড মিলে ঘড়ি (মূল্য ৪ কোটি রুপি)।

জুনিয়র এনটিআরের মোট সম্পত্তি
নিউজ২৪ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে—২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, জুনিয়র এনটিআরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)। সিনেমায় অভিনয়, ব্র্যান্ড প্রোমোশন এবং ব্যবসা থেকে এই অর্থ আয় করেছেন তিনি। প্রতি সিনেমার জন্য ৪৫-৮০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন বলে জানা গেছে।

জুনিয়র এনটিআরের একটি প্রযোজনা সংস্থা আছে, যার নাম নান্দামুরি তারকা রামারাও আর্টস। তেলুগু টাইটানস নামে একটি কাবাডি দলের মালিক এই অভিনেতা। তাছাড়া শমশাবাদে একটি ফিল্ম স্টুডিওতেও বিনিয়োগ করেছেন জুনিয়র এনটিআর।

জুনিয়র এনটিআর ব্যক্তিগত জীবনে প্রণতির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। তবে তিনি শোবিজ অঙ্গনের কেউ নন। তবে খুব প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে প্রণতি। ২০১১ সালে পারিবারিক আয়োজনে মালাবদল করেন তারা। এসময় জুনিয়র এনটিআরের বয়স ছিল ২৬ বছর আর প্রণতির ১৮। এ সংসারে তাদের দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। 

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছে ফ্রান্স

রাজধানী ঢাকায় অত্যাধুনিক ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছে ফ্রান্স। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসাপ্রার্থী বাংলাদেশি আবেদনকারীদের উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য আবেদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গুলশান অ্যাভিনিউয়ের র‌্যাংগস জেড স্কয়ারে এ কেন্দ্র গত মঙ্গলবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই।

আবেদনকারীরা বুধবার থেকে ভিএফএস গ্লোবালের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করে এ কেন্দ্রে তাদের ভিসা আবেদন জমা দিতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বলেন, এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশিদের ভ্রমণের সুবিধা আর দক্ষতা বাড়ানো।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এর ফলে দৈনিক আবেদন জমা পড়ার সংখ্যা বাড়বে, অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে অপেক্ষার সময় কমবে, অর্থ প্রদানের বিকল্পগুলো আধুনিকীকরণ হবে এবং একটি বিশেষায়িত কেন্দ্রের মাধ্যমে আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে।

ভিএফএস গ্লোবাল ২০০৪ সাল থেকে ভিসা প্রক্রিয়া করার কাজে ফরাসি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। বর্তমানে ২৯টি দেশে ফ্রান্সের জন্য ৭০টি ভিসা কেন্দ্র পরিচালনা করছে তারা।

ভিএফএস গ্লোবাল জানিয়েছে, তাদের ভূমিকা কেবল আবেদনপত্র সংগ্রহ, প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির মতো প্রশাসনিক কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

শেনজেন ব্যবস্থার আওতায় ভিসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত, অনুমোদন ও প্রত্যাখ্যান করা ফরাসি দূতাবাসের এখতিয়ারভুক্ত।

নতুন এ আবেদন কেন্দ্রটি রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন https://visa.vfsglobal.com/bgd/en/fra এই ঠিকানায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ