বিশ্বের বেশির ভাগ ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার। রিয়ালে আসার জন্য কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো ফুটবলারও বছরের পর বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যান। ফলে কেউ রিয়ালের মতো ক্লাবে আসার পর ক্লাবটি সহজে ছাড়তে চাইবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু এরপরও প্রতি মৌসুমে নানা কারণে ফুটবলারদের দলবদলের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং অনেককেই ক্লাব ছাড়তে হয়। তবে চলতি দলবদলে ভিন্ন এক পরিস্থিতির দেখা মিলেছে রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে কোনো খেলোয়াড়ই রিয়াল ছাড়তে চাচ্ছেন না।

মার্কার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর কোনো খেলোয়াড় এবং তাঁদের এজেন্ট ক্লাব ছাড়ার আগ্রহ দেখাননি। এমনকি কোনো প্রস্তাবও নিয়ে আসেননি কেউ। দলের প্রতি এমন নিবেদন প্রশংসনীয় হলেও এটি ক্লাবের জন্য একটি বড় সমস্যারও সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে রিয়ালের স্কোয়াড পর্যাপ্ত খেলোয়াড়ে পরিপূর্ণ।

আরও পড়ুনফাঁকা হচ্ছে রিয়ালের চেক বই, দলবদলে রেকর্ড খরচ ২,৫১৫ কোটি টাকা২১ জুলাই ২০২৫

কিছু ফুটবলার দল না ছাড়লে রিয়াল বিভিন্ন পজিশনে প্রয়োজন অনুযায়ী খেলোয়াড়ও কিনতে পারবে না। সব মিলিয়ে একধরনের অস্বস্তিতেই আছে মাদ্রিদের ক্লাবটি।

এদিকে সময় খুব দ্রুতই গড়িয়ে যাচ্ছে। লা লিগায় নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে এ মাসের মাঝামাঝিতে। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতিও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ১২ আগস্ট অস্ট্রিয়াতে দেশটির ক্লাব ডব্লিউএসজি টিরোলের বিপক্ষে প্রাক্‌–মৌসুম প্রস্তুতির প্রথম ম্যাচ খেলবে রিয়াল।

ফলে কোচ জাবি আলোনসোর জন্য এখনই সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কাকে কোথায় খেলাবেন এবং দলের ভেতরে কার কী ভূমিকা হবে, তা–ও এখন স্পষ্ট করতে হবে তাঁকে। কিন্তু কোচ নিজেই যদি না জানেন, কে যাবেন আর কে আসবেন, তবে তাঁর জন্য দল সাজানো বেশ কঠিনই।

রিয়াল এই মুহূর্তে বেশ কজন খেলোয়াড়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গনসালো গার্সিয়া ও এনদ্রিকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা। কিলিয়ান এমবাপ্পে নিশ্চিতভাবে নিয়মিত একাদশে থাকবেন। ফলে ফরোয়ার্ড হিসেবে গার্সিয়া ও এনদ্রিকের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে হবে আলোনসোকে।

রিয়ালের আরেক সমস্যার নাম ডেভিড আলাবা। ৩৩ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান এই ডিফেন্ডার ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের একজন। পাশাপাশি ক্লাবের অন্যতম চোটপ্রবণ খেলোয়াড়ও তিনি। সব মিলিয়ে রিয়াল চায় তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে। তবে মার্কা বলছে, আলাবা নিজেই নাকি ক্লাব ছাড়তে চান না।

আরও পড়ুন২৫ বছর পর রিয়ালে ব্যালন ডি’অরজয়ী কেউ রইলেন না২৯ জুলাই ২০২৫

রিয়ালে হুমকিতে আছে ফারলাঁ মেন্দির ভবিষ্যৎও। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে বিক্রির তালিকায় রাখা হয়নি। কিন্তু ক্লাবের অভ্যন্তরে এই লেফট–ব্যাকের অবস্থান বেশ দুর্বল। বিশেষ করে আলভারো কারেরাসের আগমন এবং ক্লাব বিশ্বকাপে ফ্রান গার্সিয়ার পারফরম্যান্স আরও কোণঠাসা করে দিয়েছে মেন্দিকে।

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসো আছেন বিপাকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ