উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে ভৈরব নদের পানি বেড়ে ডুবে গেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ। নির্মাণাধীন বাঁধ প্রকল্পের ধীরগতির কারণে নদীর পানি আটকে গিয়ে নিচু এলাকার ধান, পাটসহ নানা মৌসুমি ফসল তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শত শত কৃষক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাতিভাঙা, কয়মারি, চাঁদমারি, কাজলা ও ভেদাগাড়ি এলাকার বিস্তীর্ণ বিলাঞ্চলের ফসলি জমি পানিতে ডুবে আছে। কাঙলার বিল, কয়মারির বিল ও চাঁদমারির বিলের পুরো অংশজুড়েই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিচু জমিতে ধান ও পাটসহ বিভিন্ন ফসল রোপণ করেছিলেন কৃষকেরা। তবে এসব জমি ডুবে যাওয়ায় চিন্তিত কৃষক। 

হাতিভাঙা গ্রামের কৃষক জালাল ও মুক্তারপুর গ্রামের কৃষক ইলাহী জানান, হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এই ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো তাদের পক্ষে অসম্ভব।অনেকেই সরকারের কাছে জরুরি আর্থিক সহায়তা ও অনুদান চেয়েছেন। 
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ভৈরব নদীর বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা এবং অতিবৃষ্টির কারণে দামুড়হুদা উপজেলার ভৈরবপাড় এলাকার প্রায় সাড়ে সাত হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব নির্ধারণে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশ্য দ্রুত নির্মাণ শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজিম উদ্দিন জানান, সুভলপুরে ভৈরব নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ ২০২২ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। 

তিনি জানান, কৃষকের যেন আর ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে তারা সতর্ক আছেন।

তবে ভুক্তভোগী কৃষকরা বলেন, একবার এমন জলাবদ্ধতা হলে বছরের পুরো ফসল ঘরে তোলাই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ভৈরব বাঁধের কাজ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ